Weight Loss Tips

প্রোটিন খেয়ে মেদ ঝরাতে গিয়ে বেড়ে যেতে পারে ওজন, কোন ভুলে এমন হতে পারে?

ওজন কমানোর জন্য যে ডায়েট পরিকল্পনা তা কিন্তু ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা দরকার?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৫ ২০:৩৬
Share:

প্রোটিন খাবার খেয়ে হিতে বিপরীত? বেড়ে যাচ্ছে ওজন? ছবি: শাটারস্টক।

কী ভাবে ওজন কমানো যায়, কী খেতে হয়, সব উত্তর মিলবে প্রশ্ন করলেই। উত্তর দেওয়ার জন্য রয়েছে সমাজমাধ্যম। ভিডিয়ো থেকে রিল— সর্বত্রই সুস্থ থাকার ভূরি ভূরি কৌশলের হদিস। সেই সব দেখে শুনেই ডায়েটের পরিকল্পনা? সকাল থেকে রাত, নানা ভাবে খাচ্ছেন প্রোটিন খাবার। মাছ, মাংস, বাদাম, সয়াবিন, ডাল এ সবই থাকছে পাতে।

Advertisement

ওজন কমানোর জন্য যে ডায়েট পরিকল্পনা তা কিন্তু ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সমাজমাধ্যম প্রভাবী স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিয়ে পরামর্শদাতা কোচ নিকিতা বরদিয়া বলছেন সে কথাই। এমনকী তাঁর নিজের সঙ্গেই এ ঘটনা ঘটেছিল। ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতেন পাতে। কিন্তু দেখেন ওজন কমার বদলে বেড়ে যাচ্ছে। সমাজমাধ্যমে তিনি ৫ ভুল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রোটিন এবং ক্যালোরি: ওজন বৃদ্ধি বা কমার সঙ্গে ক্যালোরি হিসাব নিকাশ জড়িত। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যতই স্বাস্থ্যকর হোক, ক্যালোরির হিসাব ঠিক করতে না পারলে ওজন বাড়তে পারে। কারও দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদা ১৮০০ কিলোক্যালোরি। অথচ প্রোটিন সমৃদ্ধ পরিমিত খাবারেও ক্যালোরি যদি ২১০০-২২০০ হয়ে যায়, তা হলে ওজন বাড়তে থাকবে।

Advertisement

সব প্রোটিন ফ্যাট বিহীন নয়:ফ্যাটে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। যে খাবারে প্রোটিন এবং ফ্যাট দুই-ই আছে তার ক্যালোরি বেশি। মুরগির মাংস যেমন লিন প্রোটিন বা ফ্যাটবিহীন প্রোটিনের তালিকায় পড়ে। আবার পনির বেশ কিছুটা ফ্যাট থাকে। ক্যালোরিও বেশি। আবার টোফুতে প্রোটিন মিললেও, ক্যালোরির পরিমাণ কম। প্রোটিন সমৃদ্ধ টোফুতে ফ্যাটও কিছুটা কম। পনিরের বদলে টোফু, চিনেবাদামের বদলে ছোলা ভাজা খেতে পারেন। কোন খাবারের বদলে কোনটি খাবেন, সেটি বাছাই হবে হিসাব কষে। শরীরের জন্য ফ্যাট জরুরি। তবে তার মাত্রা ঠিক না থাকলেই হিতে বিপরীত হবে।

শরীরচর্চা ছাড়া প্রোটিন: শুধু ওজন ঝরানোর জন্য নয়, বরং সবল পেশি গঠনের জন্যও প্রোটিনের প্রয়োজন। যিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাঁর বিপাকহারও বেশি হয়। ওজন কমার সঙ্গে বিপাকহারেরও সম্পর্ক রয়েছে। তা ছাড়া, শারীরিক কসরত করলে যতটা প্রোটিন দরকার হয়, যিনি শুয়ে-বসে থাকেন বা অফিসে বসে বসে কাজ করতে হয় তাঁর ততটাও প্রয়োজন হবে না। ফলে শরীরচর্চা না করে শুধু প্রোটিন জাতীয় খাবারের ভরসায় ওজন কমাতে গেলে মাত্রা বোঝা জরুরি।

কিডনির সমস্যা: অতিরিক্ত প্রোটিন খাবার হজম করতে সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া কিডনির সমস্যা থাকলেও প্রোটিন খাবার যথেচ্ছ খাওয়া চলে না। শুধু প্রোটিন খাবার না খেয়ে গাট হেলথ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এমন খাবার তালিকায় রাখা জরুরি। ফাইবার, প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখা দরকার।

প্রোটিনের মাপ

খাবার তালিকায় হঠাৎ করে অনেকটা প্রোটিন যোগ করলেও শরীরে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রোটিন খাবারের মাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement