ছবি : সংগৃহীত।
ওজন ঝরানোর জন্য কী খাবেন না খাবেন ভেবে, যাঁরা চিন্তিত, এ পরামর্শ তাঁদের কাজে লাগত পারে। এক পুষ্টিবিদ বলছেন, ওজন কমানোর জন্য ব্লুবেরি, অ্যাভোকাডো, কিউয়ির মতো দামি দামি ফল খাওয়ার দরকার নেই। তার বদলে বাড়িতে রান্নাঘরের ঝুরিতে থাকা খুব সাধারণ শাক-সব্জি খেয়েই অনেক ভাল ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
সাধারণত ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর মানুষজন সব খাবার ছেড়েছু়ড়ে শসা-দই ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদ রিমা কৌর বলছেন, তার বদলে খাদ্য তালিকায় রাখুন ৫টি অতি চেনা খাবার। যা মোটা মুটি সব ঋতুতেই বাজারে পাওয়া যায়।
১। লাউ
লাউয়ে জলের পরিমাণ বেশি। ক্যালোরির মাত্রাও কম। আবার ফাইবারের মাত্রা বেশি। তাই লাউ দৈনিক ক্যালোরির মাত্রায় খুব বেশি প্রভাব না ফেলেই পেট অনেক ক্ষণ ভরিয়ে রাখতে পারে। ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। এটি হজমেও সহায়ক। আবার রেচনেও সহায়ক। তাই শরীর থেকে সহজেই বিষাক্ত পদার্থ টেনে বার করে দিতে পারে। এই প্রক্রিয়াও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক।
২। পালং শাক
এটি আয়রনের খনি। ফাইবারেরও। পাশাপাশি থাকে ম্যাগনেশিয়াম। এই সব কিছুই হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি বিপাকের হার ভাল রাখতে সাহায্য করে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি।
৩। বাঁধাকপি
বাঁধাকপিরও ক্যালোরি কম। ফাইবার বেশি। তার পাশাপাশি এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দূরে রাখে। আবার ফ্যাট ভাঙতেও সাহায্য করে। তাই দৈনন্দিন খাবারে সপ্তাহে ২-৩ দিন বাঁধাকপির তরকারি বা বাঁধাকপির পাতা দিয়ে তৈরি স্যালাড রাখা যেতে পারে।
৪। ঢেঁড়স
ঢেঁড়সে রয়েছে সল্যুবল ফাইবার। যা অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটিও পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। শরীরকে জরুরি পুষ্টিও জোগায়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জরুরি।
৫। গাজর
গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলি শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিক্যালস দূরে রাখে। যা অস্বাস্থ্যকর মেদ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।