ঠিক ১০টি আমন্ডই কেন খান সোহা? ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের রসনাতৃপ্তি বোঝেন না শর্মিলা ঠাকুরের ছোট কন্যা। এমন দাবি অন্য কারও না। তাঁর নিজেরই। খাবারের বিষয়ে সোহা আলি খান একেবারেই রসিক নন। এমনই অভিযোগ করেন সোহার কাছের মানুষেরা। কারণ জলখাবার, মধ্যাহ্নভোজন, নৈশভোজ— দিনে তিন বার প্রায় একই খাবার খান অভিনেত্রী। আর সবই স্বাস্থ্যকর। তাই বোধহয় ৪৬ বছর বয়সেও ছিপছিপে চেহারা ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি।
জলখাবার: মেথির জল দিয়ে দিন শুরু করেন সোহা। সঙ্গে পাকা পেঁপে, আপেল আর তরমুজ দিয়ে ফলের বাটি সাজিয়ে খেতে বসেন। পাশে থাকে গ্লুটেন-মুক্ত একটি অ্যাভোকাডো টোস্ট। সঙ্গে চিজ় বা জ্যাম থাকে মাখিয়ে খাওয়ার জন্য।
খাবারের বিষয়ে সোহা একেবারেই রসিক নন, এমনই অভিযোগ করেন সোহার কাছের মানুষেরা। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যাহ্নভোজন: দুপুরে খাওয়ার পাতে থাকে বাদামি চালের ভাত (ব্রাউন রাইস), যে কোনও প্রকার ডাল, যা হোক একটি সব্জি, চিকেন বা মাছের কোনও পদ।
নৈশভোজ: নৈশভোজেও ওই একই খাবার। তবে নতুন সংযোজন থাকে স্যালাড বা শাকপাতা। তন্দুরি চিকেনও থাকে তাঁর পাতে।
সোহার ডায়েটের সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয়টি হল, সকালে তিনি ১০-১১টি আমন্ড খান। কিন্তু ঠিক ১০টিই কেন? নেপথ্যে আশ্চর্য তত্ত্ব রয়েছে বলে দাবি সোহার। তিনি জানাচ্ছেন, প্রতি ১০ পাউন্ড ওজনের জন্য একটি করে আমন্ড খাওয়া উচিত। নিজের ওজন মেপে সেইমতো গুনে গুনে আমন্ড খেতে হবে। যেমন সোহার ওজন ৪৯ কেজি। পাউন্ডে হিসেব করলে যা দাঁড়াবে, ১১০ পাউন্ড। তাই ১০ থেকে ১১টি আমন্ডই রোজ খান সোহা।