প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
স্মার্টওয়াচ এখন জনপ্রিয়। কারণ শুধু সময় নয়, ফোনের সুবিধা ছাড়াও স্মার্টওয়াচ ব্যবহারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, তা ব্যবহারকারীকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য (হার্ট রেট, রক্তচাপ, পদক্ষেপ, ক্যালোরি ইত্যাদি) জানিয়ে দেয়। কিন্তু কব্জিতে স্মার্টওয়াচ যদি যথাযথ ভাবে পরা না হয়, তা হলে তা থেকে ভুল রিডিং পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। স্মার্টওয়াচ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাই কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলা উচিত।
ডান হাত না কি বাম হাত
সাধারণত মানুষ তার কম সক্ষম হাতে ঘড়ি পরে থাকে। স্মার্টওয়াচের ক্ষেত্রে এ রকম কোনও নিয়ম নেই। প্রথম বার সেট আপের সময় কোন হাতে পরা হবে, তা জেনে নেয় ঘড়িটি। সেইমতো ব্যবহার করা উচিত। হাত পাল্টালে, রিডিংও বদলে যেতে পারে। বেশি সক্ষম হাত দিয়ে কাজ বেশি করা হয়। তাই সেই হাতে ঘড়িটি থেকে রিডিং ভুল আসতে পারে।
কব্জির কোন অংশ
স্মার্টওয়াচ কব্জির হাড়ের উপরে পরা উচিত নয়। তাতে হৃৎস্পন্দন বা রক্তচাপের ক্ষেত্রে ভুল রিডিং আসতে পারে। কব্জি থেকে এক আঙুল উপরে স্মার্টওয়াচ পরা উচিত। ত্বকের সঙ্গে সমান্তরাল অবস্থানে ঘড়ির সেন্সরগুলিও সঠিক তথ্য প্রদান করে।
শক্ত না কি হালকা
স্মার্টওয়াচ শক্ত করে পরা উচিত নয়। তার ফলে ঘড়ির নীচে ঘাম জমে ভুল রিডিং আসতে পারে। আবার খুব হালকা ভাবে পরলে ঘড়িটি নড়াচড়া করবে। তার ফলেও সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে না। সহজ ভাবে বলতে গেলে শক্ত এবং হালকা— এই দুইয়ের মাঝামাঝি একটি আরামদায়ক অবস্থানে স্মার্টওয়াচ পরা উচিত। কব্জির উপর দিকেই ঘড়িটি যেন থাকে। নীচের দিকে ডায়াল রেখে স্মার্টওয়াচ পরা উচিত নয়।
ভুল তথ্যের পরিণাম
স্মার্টওয়াচ একাধিক ক্ষেত্রে মানুষকে বিপদ থেকে বাঁচায়। অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা রক্তচাপের ক্ষেত্রে বিপদের আগেই সতর্ক হওয়া সম্ভব। কিন্তু স্মার্টওয়াচ যদি ভুল তথ্য দেয়, তা হলে ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়। ফলে সতর্ক না হলে অজান্তেই কোনও অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই স্মার্টওয়াচ পরার ক্ষেত্রে উল্লিখিত পরামর্শগুলি মেনে চললে সমস্যা হবে না।