ভূমির খাদ্যাভ্যাস কেমন? ছবি: সংগৃহীত।
১০ বছর আগে ও পরে। ২০১৫ সালে ‘দম লগা কে হইশা’তে আত্মপ্রকাশের সময়ে ভূমি পেডনেকরের ওজন ছিল ৯২ কিলোগ্রাম। ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২৭ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন তিনি। তার পরের ছবির জন্য ৩৬ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেন ভূমি। এই মুহূর্তে, ১০ বছর পর কেবল ছিপছিপে নন, টোন করা শরীরের অধিকারী তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার প্রকৃতি ও ধরনে নানাবিধ পরিবর্তন এনেছেন লক্ষ্যে পৌঁছোনোর জন্য। তবে তাঁর যাপনের একটি প্রথা যেন ধ্রুব।
ভূমির কথায়, ‘‘লোকে হয়তো ভয় পায়, কিন্তু আমার খাবারে চিরকাল ঘি থাকবেই। ডায়েটে ভাল পরিমাণে ঘি থাকে। অনেকেই হয়তো ঘি খান, কিন্তু আমার সঙ্গে পার্থক্য হল, আমি ঘি দিয়ে রান্না করি না। কাঁচা ঘি খাই। রুটি বা ইডলিতে ঘি মাখিয়ে খাই বেশির ভাগ সময়ে। তা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভাল।’’
ভূমির মতো পাতে থাকুক ঘিয়ে মাখা রুটি বা ইডলি। ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, ঘি যদি রুটি বা পরোটায় মাখিয়ে খাওয়া যায়, তাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (যে সূচকে বোঝা যায়, প্রত্যেকটি খাবার কত দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলছে) কমে যায়। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কমে যায়। হজমপ্রক্রিয়া উন্নত হয়। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ঘি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমে গিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর যেমন একাধিক বার দাবি করেছেন, ক্ল্যারিফায়ে়ড বাটার বা ঘি ওজন কমানোর জন্যও খুব কার্যকর। দিনে এক বার অন্তত (বিশেষ করে দুপুরে) খাবারে ঘি যুক্ত করা উচিত।
ঘি খাওয়া ছাড়াও ভূমির ওজন হ্রাসের মূলমন্ত্র ছিল খাওয়াদাওয়ার নিয়মশৃঙ্খলা এবং শরীরচর্চা। নানাবিধ বাদাম এবং ফলমূল ভর্তি খাদ্যাভ্যাস, পাশাপাশি ভারোত্তোলন, দৌড়োনো ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল ছিলেন বিভিন্ন সময়ে।