গুলশন দেবাইয়া ‘ওমাড’ ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করেন। ছবি: সংগৃহীত।
কর্ণ জোহরের মতোই দিনে এক বার খান বলি তারকা গুলশন দেবাইয়া। দিনে এক বার খাওয়ার মতো কৃচ্ছ্রসাধন করা যে সহজ নয়, তা তিনি বার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাও কেন ‘শয়তান’-এর অভিনেতা এই সিদ্ধান্ত নিলেন? এক বার খেয়ে কী ভাবে নিজের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখছেন তিনি? কী-ই বা খাচ্ছেন? ‘ওমাড’ ডায়েট ওরফে ‘ওয়ান মিল আ ডে’ ডায়েটের এই ধারার আশ্চর্য রুটিন জেনে নিন।
ছিপছিপে চেহারা ধরে রাখতে এবং শরীরকে মজবুত রাখতে ‘বধাই দো’-র অভিনেতা এই খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে নিজেকে পরিচয় করান। সারা দিনে শরীরে যত পরিমাণ ক্যালোরির প্রয়োজন, সব এক বারের পাতে নিয়ে নেওয়ায় বিশ্বাসী তিনি। দৈনিক ক্যালোরি এক বারে গ্রহণ করার পর সারা দিন উপবাস করার নিয়মই হল ‘ওমাড’। কিন্তু সমস্ত ক্যালোরি একটি পাতে অন্তর্ভুক্ত করা মোটেও সহজ নয় বলেই দাবি গুলশনের। বিশেষ করে যখন পুষ্টির ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গুলশনের কথায়, ‘‘প্রায় রোজ আমি দিনে একটি করে মিল খাই। প্রায় রোজ বলছি কারণ, কোনও কোনও দিন নিয়মভঙ্গ হয়। কিন্তু যথাসম্ভব ধারাবাহিকতা বজায় রাখি আমি। ৩৬৫ দিনের মধ্যে ধরে দিন ৩০০ দিনই আমি ওমাড ডায়েট মেনে চলি। ২০১৮ সালে এই ডায়েট শুরু করি আমি। নিজের খাওয়াদাওয়ায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা বড় কঠিন হয়ে গিয়েছিল আমার পক্ষে। কারণ, আমরা অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাই। ফলে ওজন বৃদ্ধি বা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আমি কিছুতেই নির্দিষ্ট ওজন বজায় রাখতে পারছিলাম না। এই ডায়েট সকলের জন্য নয়। কিন্তু আমার মনে হয়, আমার জন্য এই রুটিন বেশ সুবিধাজনক কারণ, আমি খাওয়াদাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা পছন্দ করি না। এই নিয়মে খেলে নিজের সমস্ত পছন্দের খাবারও খেতে পারি। কিন্তু দিনে এক বার খাচ্ছি বলে খুব বেশিও খাওয়া যায় না। ফলে ক্যালোরি বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ কম।’’
দিনে মাত্র এক বার খেলে কি সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরে পৌঁছোতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
দিনে মাত্র এক বার খেলে কি সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরে পৌঁছোতে পারে?
গুলশন স্বীকার করছেন, এক বারে সমস্ত পুষ্টি উপাদান শরীরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ আদপে সহজ নয়। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে হবে। প্রথম দিকে গুলশন একটি ভুল করতেন রোজ। সারা দিনের কাজ সেরে খেতে বসতেন। অর্থাৎ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার প্রায় আধ ঘণ্টা আগে। এর ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই অম্বল হয়ে যেত গুলশনের। তাই কয়েক রকমের খাবার বাদ দিতে হয় তাঁকে। মাঝেমধ্যেই এক খাবার পাল্টে অন্য খাবার বেছে নিতে হত। বিভিন্ন শাকসব্জি এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করতে হত ডায়েটে। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে খাবার থালাও পাল্টে যেত। কিন্তু এই গোটা প্রক্রিয়ায় গুলশন খুব একটা পারদর্শী ছিলেন না। তাই পুষ্টিতে ঘাটতি থেকেই যেত। ভিটামিনের ঘাটতির জন্য এমনকি সাপ্লিমেন্টও নিতে হত। তার উপর দুগ্ধজাত পণ্য খান না বলে ভিটামিন ডি৩ কমই থাকে তাঁর। পরবর্তীতে তিনি এই রুটিনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। বিবিধ সমস্যা মাথায় রেখে গুলশন জানাচ্ছেন, যে কেউ যখন ইচ্ছে এই ডায়েট শুরু করলে উপকৃত হবেন না।