‘ওয়ার’ ছবিতে হৃতিক রোশনের লুক। ছবি: সংগৃহীত।
২০০০ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি ‘কহো না প্যার হ্যায়’। প্রথম ছবিতেই সুঠাম শরীরে নিজস্ব অনুরাগী বৃত্ত তৈরি করে নিয়েছিলেন হৃতিক রোশন। ৫১ বছর বয়সেও তাঁর পেশিবহুল চেহারা অনুরাগীদের আকৃষ্ট করে। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে হৃতিকের নতুন ছবি ‘ওয়ার ২’।
এই ছবিতে হৃতিকের হাতের পেশির আকার আলাদা করে অনুরাগীদের নজর কেড়েছে। তিনি কী ভাবে অসাধ্যসাধন করেছেন, সম্প্রতি তার নেপথ্য রহস্য ফাঁস করেছেন হৃতিকের ব্যক্তিগত ফিটনেস প্রশিক্ষক স্বপ্নিল হাজারে। তিনি জানিয়েছেন, চরিত্রের প্রয়োজনে হৃতিককে তথাকথিত ছবির নায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। এই অ্যাকশন ছবিতে হৃতিক একজন গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেন। তাই হাতের পেশির আকার যেন বড় হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়েছিল স্বপ্নিলকে। পাশাপাশি কোমরের উপর থেকে হৃতিকের পিঠের আকার যেন ‘ভি’ আকারের হয়, তারও প্রয়োজন ছিল।
‘ওয়ার ২’ ছবির জন্য পরিশ্রম করেছেন হৃতিক। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে, ‘ওয়ার’ এবং ‘ওয়ার ২’ ছবিতে অভিনেতার বাইসেপের আকারের তুলনামূলক আলোচনা ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে। সিকুয়েলে দেখা যাচ্ছে, অভিনেতার বাইসেপ এবং ট্রাইসেপ পেশির আকার বেড়েছে।
হৃতিকের শরীরচর্চা
হৃতিকের সুঠাম শরীর তৈরির জন্য সপ্তাহে চার দিন শরীচর্চার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বপ্নিল—
১) প্রথম দিন বুকের ব্যায়াম।
২) দ্বিতীয় দিন পিঠের ব্যায়াম।
৩) তৃতীয় দিন পায়ের ব্যায়াম।
৪) চতুর্থ দিন হাতের পেশির ব্যায়াম।
এর পাশাপাশি দেহের মেদের পরিমাণ কমাতে নিয়মিত কার্ডিয়ো করতেন হৃতিক। স্বপ্নিলের কথায়, ‘‘কার্ডিয়োর ফলে মেদ কমার পাশাপাশি শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি পায়। পেশির শুশ্রূষা এবং শারীরিক ভঙ্গি ঠিক রাখতেও কার্ডিয়ো সাহায্য করে।’’
হৃতিকের বয়স এখন ৫০ এর বেশি হওয়ায়, স্বপ্নিল জানিয়েছেন, যে কোনও রকম চোট-আঘাত থেকে অভিনেতাকে দূরে রাখা তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিল। অতীতে হৃতিক একাধিক বার শিড়দাঁড়া এবং হাঁটুতে শরীরচর্চার সময়ে চোট পেয়েছেন। স্বপ্নিল বলেন, ‘‘ওজন-সহ ব্যায়ামের সময় আমি সাবধান থাকতাম। বেশি ওজনের পরিবর্তে হাতের পেশির জন্য আমরা ‘সুপার সেট’ এবং ‘ড্রপ সেট’ ব্যবহার করতাম।’’
এ ছাড়াও শরীরচর্চার পরে শরীরকে ঠিক রাখতে ‘কুল ডাউন’-এর সময় নিতেন হৃতিক। স্বপ্নিলের কথায়, ‘‘যে দিন শরীর ভাল থাকত বেশি শরীরচর্চা করতেন (হৃতিক)। ক্লান্ত থাকলে কম ব্যায়াম।’’ ৫০ বছরে হৃতিকের মতো ফিট থাকতে হলে পরিশ্রম এবং নিয়মানুবর্তিতার কোনও বিকল্প নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।