প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নিয়মিত কলা খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী। বিশেষ করে পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে কলা। কিন্তু কলার মধ্যে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেটে গ্লুকোজ়, ফ্রুকটোজ় এবং সুক্রোজ়ের মতো শর্করা থাকে। তাই যাঁরা সুগারে আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু দিনে একটি বা দু’টি কলা খাওয়াও কি যায় না?
কলার মধ্যে শর্করা
একটি প্রমাণ আকারের কলার মধ্যে প্রায় ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তার মধ্যে শর্করা থাকে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ গ্রাম। কলা খাওয়ার পর তা হজম হয়। ফলে কলার মধ্যে উপস্থিত গ্লুকোজ় রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃ্ধি করে। কিন্তু কলা সুগারের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করবে, তা নির্ভর করে ব্যক্তির শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার এবং ইনসুলিনের কার্যকরিতার উপর।
দিনে দু’টি কলা খাওয়ার অর্থ প্রায় ৫৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ। তার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়ে। কলা যত পাকা হবে, তার মধ্যে শর্করার পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে। যেমন পাকা কলার গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক প্রায় ৫১। কলা অতিরিক্ত পাকা হলে সেই সাংখ্যমান ৬২ পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ এই ধরনের কলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
কী করা উচিত
সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন খাবারে কতটা ক্যালোরি থাকছে বা শর্করা থাকছে, তা জানা প্রয়োজন। যেমন অল্প পরিমাণে উচ্চ শর্করা যুক্ত ফল খেলেও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু কম শর্করা যুক্ত ফল অধিক পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
তাই দিনে সুগারের রোগীদের দিনে একটা কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে ততটা সমস্যা হয় না। শরীর তা ঠিক মতো হজম করে নেয়। কিন্তু একসঙ্গে দুটো কলা খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকেটাই বাড়তে পারে, যা শরীরের পক্ষে তখন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।
আবার একটি বা দু’টি কলাকে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে সারা দিনে ভাগ করে খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে একবারে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে না। পাকা কলার খোসায় যদি খয়েরি বা কালো দাগ কম থাকে, তা হলে বুঝতে হবে সেই কলাটির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। সে ক্ষেত্রে কলাটি খেলে শর্করার পরিমাণ বিশেষ বৃদ্ধি পাবে না। আবার কলার সঙ্গে বাদাম, চিয়া বীজ বা দই খাওয়া খেলে এক ধাক্কায় রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে না।