রাঙাআলু খেতে পছন্দ করেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বলিউডে বাইরে থেকে এসে পায়ের তলার জমি শক্ত করা কঠিন ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভব নয়। অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্র সেটাই করে দেখিয়েছেন। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত তারকা হলেও শুরুর দিনগুলি তাঁকেও বাকিদের মতোই লড়াই করতে হয়েছিল। সেই সময়ের আখ্যান প্রসঙ্গে নিজের ডায়েটের অজানা কাহিনি প্রকাশ্যে এসেছেন সিদ্ধার্থ।
‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবিতে সুযোগ পাওয়ার আগে মুম্বইয়ে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে অনেকের সঙ্গে ঘর ভাগ করে থাকতেন সিদ্ধার্থ। হাতে টাকা তেমন ছিল না। তাই খরচ করতে হত বুঝে। শুরু থেকেই অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অল্প বাজেটে নায়কোচিত চেহারা তৈরি করা কঠিন। কিন্তু সমস্যার সমাধান বের করেছিলেন সিদ্ধার্থ।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, স্ট্রাগলের দিনে সকালে প্রাতরাশে তিনি নিয়মিত রাঙাআলু খেতেন। অভিনেতা বলেন, ‘‘ওই সময় প্রাতরাশে রাঙাআলু খেতাম। প্রতিদিন সেটাই খেতাম। একদিকে দাম কম। অন্যদিকে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর রাঙাআলু।’’
রাঙাআলুর উপকারিতা
রাঙাআলু পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি আকারের রাঙাআলু এক জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সারা দিনের ডায়েটের ১০ থেকে ১৩ শতাংশ পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে পারে। ফলে রক্তচাপের সমস্যা কমে। পাশাপাশি যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে রাঙাআলু। এছাড়াও রাঙাআলু পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
রাঙাআলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ, ডায়েটারি ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। ম্যাঙ্গানিজ, কপার, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ উপাদান ছাড়াও রাঙাআলু ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ।
সতর্কতা
রাঙাআলু সিদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না। স্বাদেও ভাল লাগে। কিন্তু যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে রাঙাআলু খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত পটাশিয়াম কিডনির ক্ষতি করতে পারে। রাঙাআলুতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই টাইপ টু ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত পরিমাণে রাঙাআলু খাওয়া উচিত নয়।