কানের লতি পরিষ্কার রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো হোক বা লক্ষ্মীপুজো, পোশাকের পাশাপাশি কানের সজ্জাও যে বড়ই গুরুত্বপূর্ণ! সারা বছর ছোট সাদামাঠা দুল পরলেও উৎসবের সময়ে জমকালো দুল পরতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভারী দুল পরে কানে ব্যথা হওয়াও স্বাভাবিক। দুল যেমন সাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তেমনই তার যত্ন না নিলে ছোট একটি ছিদ্রও হয়ে উঠতে পারে সংক্রমণের উৎস। ভারী দুলের কারণে অনেক সময়ে কানের ছিদ্রে আঘাত লেগে রক্ত জমতে থাকে। তা ছাড়া নিয়মিত পরিষ্কার না করলে সেখানে জমে যায় ঘাম, মৃত কোষ ও ময়লা, যা থেকেও হতে পারে জ্বালা বা সংক্রমণ। তাই কানের ছিদ্র সংলগ্ন অংশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা দরকার। কখনও বা গ্র্যানুলোমা (সংক্রমণ বা প্রদাহের প্রতিক্রিয়ায় তৈরি হওয়া ছোট পিণ্ড) গঠনের মতো জটিলতার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
কানের ছিদ্রের আশপাশ পরিষ্কার রাখার নিয়মাবলি জেনে নিন ধাপে ধাপে—
১. সবার প্রথমে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। নোংরা হাতে ছিদ্রের আশপাশে হাত দিলে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। সাবান ও গরম জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
২. অ্যালকোহল বা জীবাণুনাশক না ব্যবহার করে নুন মেশানো গরম জলে কানের লতি পরিষ্কার করুন। স্যালাইন দ্রবণই এ ক্ষেত্রে ভাল কাজ দেবে। এটি কানের চামড়ার ক্ষতি না করে ময়লা পরিষ্কার করবে।
৩. ছিদ্রের আশপাশ পরিষ্কার করার সময় জোরে ঘষবেন না। নরম তুলো বা গজে আলতো করে জায়গাটি মুছে দিন, যাতে কোনও টান না পড়ে।
কানের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
৪. . পরিষ্কার করার পর কানের ওই অংশ যেন ভেজা না থাকে। সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিলে জীবাণু জন্মানোর আশঙ্কা থাকে না।
৫. শেষে কানের ছিদ্রের আশপাশে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন।
৬. সংক্রমণের লক্ষণে নজর দিতে হবে। যদি লালচে ভাব, ব্যথা, গরম ভাব বা পুঁজ দেখা দেয়, তবে সেটি সংক্রমণের লক্ষণ। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৭. অতিরিক্ত যত্নও ক্ষতি করতে পারে। খুব বেশি ঘষা বা বার বার ধোয়া চামড়ার ক্ষতি করতে পারে এবং নিরাময়ের গতি কমিয়ে দেয়।
৮. দুল ও ছিদ্র দু’টিকেই জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। দুল পরার আগে সেটিও পরিষ্কার করে নিতে হবে ভাল করে। তুলোতে অল্প স্যালাইন লাগিয়ে দুলটি ভাল ভাবে মুছে ফেলুন।
সাজসজ্জার মতোই পরিচ্ছন্নতাও সৌন্দর্যেরই একটি অঙ্গ। কানের দুল পরায় বাধা যাতে না পড়ে, তার জন্য ছিদ্রটিকেও পরিষ্কার, কোমল ও সংক্রমণমুক্ত রাখতে হবে।