Anxiety

হঠাৎ হঠাৎ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন? দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমাতে নিয়ম করে মেনে চলুন ৩টি পন্থা

দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠার মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে শারীরিক সমস্যাও। অল্পেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। সুস্থ জীবন পেতে, সুস্থ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৩৯
Share:

উদ্বেগের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতীকী ছবি।

শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগ অবিচ্ছেদ্য। দ্রুত গতির জীবনে মানসিক চাপ উপেক্ষা করার উপায় নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠার মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে শারীরিক সমস্যাও। অল্পেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। সুস্থ জীবন পেতে, সুস্থ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মনও। এই ধরনের সমস্যা বেশি দিন থাকলে, মনোবিদের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে সমস্যা কম থাকলে, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে।

Advertisement

১। রুটিনের বাইরের কিছু সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। পছন্দের কোনও বিষয় থাকলে দিনের মধ্যে অন্তত আধ ঘণ্টা রাখুন তার জন্য। এ সব কাজে মনকে সক্রিয় রাখলে মানসিক চাপ কমে। নিয়ম করে ডায়েরি লিখতে পারেন। মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই মনের কথা লিখে রাখার পরামর্শ দেন। কোন কোন কারণে মনের উপর চাপ বাড়ছে, বা উদ্বেগ বাড়ছে— তা লিখে রাখতে পারলে উপকার মিলতে পারে। বুঝতে পারা যায় নিজের মনের গতিপ্রকৃতিও।

Advertisement

২। ঘুমে নজর দিন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বেড়ে যেতে পারে যে কোনও মানসিক সমস্যাই। অনিদ্রা ও মানসিক সমস্যা, একটি অন্যটিকে ডেকে আনে। তাই ঘুম কমে গেলে উদ্বেগও বাড়ে। তাই দৈনিক অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম চাই-ই চাই। যাঁরা ঘুমের আগে কফি পান করেন, তাঁদের সেই অভ্যাস ছেড়ে দেওয়াই ভাল। কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই উপাদানটি স্নায়ুকে আরও উত্তেজিত করে দেয় এবং উদ্বেগের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কফি খেলে অনিদ্রার সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বেড়ে যেতে পারে যে কোনও মানসিক সমস্যাই। প্রতীকী ছবি।

৩। ধূমপান ও মদ্যপান নৈব নৈব চ। উদ্বেগ বাড়লে অনেকেই নেশার আশ্রয় নেন। ভাবেন, নেশার ঘোরে দূর হয়ে যাবে সব চিন্তা। কিন্তু হয় তার উল্টো। অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান বাড়িয়ে দিতে পারে মানসিক সমস্যা। বিশেষ করে যদি মদে আসক্তি তৈরি হয়, তবে মনের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই উদ্বেগের সময় অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাই সমীচীন। একই কথা প্রযোজ্য কফির ক্ষেত্রেও।

তবে মনে রাখবেন, এ সবই ঘরোয়া এবং একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সমাধান। উদ্বেগের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাই বাঞ্ছনীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন