চুল ঝরার নেপথ্য কারণ হতে পারে ভুল খাদ্যাভ্যাস। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
চুল যাতে না ঝরে, সে জন্য চেষ্টার ত্রুটি নেই। তেল মাসাজ থেকে শ্যাম্পু করছেন, মাস্কও ব্যবহার করছেন। কিন্তু দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস যে নীরবে চুলের ক্ষতি করতে পারে, তা জানা আছে কি? চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ভিটামিন এবং খনিজ— চুলের বৃদ্ধির জন্য জরুরি। সঠিক পুষ্টি যেমন শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে, তেমনই চুলও ভাল রাখে। ঠিক তেমনই কোনও কোনও খাবার থেকে চুলের ক্ষতিও হতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট: লুচি, পরোটা, সাদা পাউরুটি— এ সব কি প্রায়ই খাওয়া হয়? চিকিৎসকেরা বলেন, সিম্পল কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ময়দায় থাকে সিম্পল কার্বোহাইড্রেট। লুচি, পাউরুটি, কেক, পেস্ট্রির মতো খাবার প্রায় খেলে তার প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে, হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়তে পারে। তা ছাড়া, কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবার বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে। স্থূলত্বও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এর প্রভাব কিন্তু চুলেও পড়তে পারে।
চিনি জাতীয় খাবার: কার্বনযুক্ত পানীয়, অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবার শরীরের পক্ষে ভাল নয়। এতে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার বা পানীয়— শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তার প্রভাব ব্যক্তিবিশেষের চুলেও পড়তে পারে। দুর্বল হয়ে যেতে পারে চুলের গোড়া। চুল ঝরতে পারে।
কড়া ডায়েট: পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কড়া ডায়েট করতে গেলেও হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীরে বিভিন্ন খাবারের নিজস্ব গুরুত্ব থাকে। কেউ কম খেয়ে, না বুঝে ডায়েট করলেই সমস্যা হবে। ভিটামিন এবং খনিজের কোনও একটির অভাব হলেই চুলে তার প্রভাব পড়বে। জ়িঙ্ক, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ ও বিভিন্ন ভিটামিন চুলের জন্য জরুরি।