Morning Rituals

৫ করণীয়: বিপাকহার বৃদ্ধি পাবে, মেদ ঝরবে দ্রুত

স্বাস্থ্য সচেতন যাঁরা, তাঁরা ইদানীং এই ‘মেটাবলিক রেট’ বা বিপাকহার নিয়ে বেশ চর্চা করেন। কিন্তু তা বাড়িয়ে তুলতে গেলে কী করবেন, জানেন কি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ ১৩:৫৯
Share:

ছবি: প্রতীকী

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টেরও দিন শুরু হয় উষ্ণ জলে লেবু এবং মধু দিয়ে খেয়ে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই পানীয় খেলে মেদ ঝরে দ্রুত। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু নিশিয়ে খেলে তা সরাসরি চর্বি গলিয়ে দিতে পারে না। উল্টে বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলে, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। অনেকেই জানেন, শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে বিপাকহার উন্নত হওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সচেতন যাঁরা, তাঁরাও ইদানীং এই ‘মেটাবলিক রেট’ বা বিপাকহার নিয়ে বেশ চর্চা করেন।

Advertisement

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, স্বাভাবিক ভাবে বিপাকহারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে ঘুম থেকে ওঠার পর। বেলা গড়াতে শুরু করলে তার পরিমাণও হ্রাস পেতে থাকে। তাই সকালে যা খাওয়া হয়, সেখান থেকে পুষ্টি শোষণ করে খুব তাড়াতাড়ি তা শক্তিতে পরিণত হয়ে যেতে পারে। পাশপাশি, এই সময়ে পরিপাক ক্রিয়াও উন্নত থাকার ফলে অতিরিক্ত মেদ জমার ভয়ও থাকে না। তবে মুখে বললেই তো এক দিনে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা সম্ভব নয়। এই হার উন্নত করতে নিয়মিত কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে।

১) লেবু, মধু দিয়ে উষ্ণ জল

Advertisement

ঘুম থেকে উঠে সকালবেলা লেবু, মধুর জল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঘুম থেকে উঠে কফি এবং চায়ের বদলে এই পানীয় খেলে তা বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলে।

২) পুষ্টিকর জলখাবার

দ্রুত মেদ ঝরানোর লক্ষ্যে অনেকেই খাবারের উপর লাগাম টানেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন শুধু খাবার নয়, খাবারের পরিমাণ এবং সময়ের উপর নজর দেওয়া জরুরি। কোন সময়ে কী খাচ্ছেন, কত ক্ষণ অন্তর খাচ্ছেন সে দিকে যেমন লক্ষ রাখতে হবে। তেমন শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে কী কী খাচ্ছেন, তা-ও মাথায় রাখা জরুরি।

৩) চিনিজাতীয় খাবার বাদ

মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে মেদের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই পরিমিত চিনি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সকালে জলখাবার খাওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পর ফল খেতে হবে প্রতি দিন।

উষ্ণ জলে লেবু-মধু দিয়ে খেলে বিপাকহার উন্নত হয়। ছবি- সংগৃহীত

৪) আর্দ্রতা বজায় রাখা

শরীরে পর্যাপ্ত জলের জোগান না থাকলে, বিপাকহার উন্নত হওয়া সম্ভব নয়। রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পর, এক গ্লাস জল দিয়ে দিন শুরু করলে তা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে। হজমে সহায়তা করে এবং বিপাকহারও উন্নত করে।

৫) শরীরচর্চা

শুধু উষ্ণ জলে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিলেই যে বিপাকহার চড়চড় করে বেড়ে যাবে, তেমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। পাশপাশি, নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে। জিমে গিয়ে ভারী ভারী ওজন তুলতে ইচ্ছে না করলে হাঁটাহাটি, যোগাসন, প্রাণায়মও করা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন