Weightloss

ভুঁড়ি কমাতে রোজ জিমে যাচ্ছেন? কোন ৫ উপসর্গ দেখলেই জিমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে?

ফিটনেসবিদেরাও কিন্তু সপ্তাহে পাঁচ-ছয় দিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। শরীরে কিছু অস্বস্তি থাকলেও কিন্তু জিমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। জেনে নিন, কোন কোন শারীরিক অসুবিধা নিয়ে জিমে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্থূলতার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে হাজার রোগবালাই। চিকিৎসকদের কাছে গেলেই হুশিয়ারি মেলে। ওজন কমান, নইলে কিন্তু ভুগতে হবে। তাই ভুড়ি বাড়লেই সচেতন মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন জিমে গিয়ে। চটজলদি ওজন কমানোর আশায় চলছে ভারী ওজন নিয়ে দেদার শরীরচর্চা। তরুণদের মধ্যে আবার বেড়েছে সুঠাম চেহারা বানানোর হিড়িক। কারও চাই শাহরুখের মতো ‘সিক্স প্যাক’, কারও আবার হৃতিকের মতো ‘এইট প্যাক’ বানানোর ইচ্ছা! সেই আশায় পাড়ার জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেদার শরীরচর্চা, ফিটনেসবিদের পরামর্শ ছাড়াই মুড়িমুড়কির মতো সাপ্লিমেন্ট খাওয়া।জিমে শরীরচর্চা করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তরুণী-তরুণীদের, এমন ঘটনা মাঝেমধ্যেই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। শরীরচর্চা করার উপকারিতা অনেক। কিন্তু শরীরের উপর বাড়তি চাপ দেওয়া কখনওই উচিত নয়। শরীরচর্চার নেশায় বুঁদ হয়ে অনেকেই আছেন, যাঁরা সপ্তাহের সাত দিনই জিমে যান। শরীরচর্চার মাঝে কিন্তু বিশ্রামেরও প্রয়োজন।

Advertisement

—প্রতীকী ছবি।

ফিটনেসবিদেরাও কিন্তু সপ্তাহে পাঁচ-ছয় দিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া, শরীরে কিছু অস্বস্তি থাকলেও কিন্তু জিমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। জেনে নিন, কোন কোন শারীরিক অসুবিধা নিয়ে জিমে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

আর কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে জিম থেকে বিরতি নেবেন?

Advertisement

১) অনেক সময়ে অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণে ঋতুচক্রের উপর প্রভাব পড়ে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ঋতুস্রাব না হলে জিমে যাওয়া কিছু দিনের জন্য বন্ধ করতে পারেন।

২) বিভিন্ন কারণে রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাচ্ছেন আর সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হচ্ছে? দিনের পর দিন ঘুমের অভাব হলে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত লাগে। অতিরিক্ত ধকলের পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে জিমে না যাওয়াই ভাল।

৩) প্রথম প্রথম জিমে গেলে কিংবা দীর্ঘ দিন পর জিমে গেলে পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তবে নিয়মিত জিম করার পর হঠাৎ কোনও দিন পেশিতে ব্যথা হলে একটু সতর্ক হোন। তখন জিমে না যাওয়াই শ্রেয়। বড় কোনও চোট আঘাত লাগলেও জিম থেকে কয়েক দিনের বিরতি নেওয়াই ভাল। চিকিৎসকদের মতে, পেটে ব্যথা, বুকে ব্যথা, জ্বর, সর্দিকাশির সমস্যায় ভুগলে জিম এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। পেটখারাপ কিংবা ডায়েরিয়া হলে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়, তাই শরীরে জলের ঘাটতি হয়। এ সময়েও জিম এড়িয়ে চলাই ভাল।

৪) আগের রাতে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে পরের দিন সকালে শরীরে জলের ঘাটতি হয়, মাথা ঝিমঝিম করে, এই পরিস্থিতি হলে কয়েক দিন জিমে গিয়ে কাজ নেই। চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।

৫) অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে, শরীর ক্লান্ত লাগলেও জিম থেকে কয়েকটা দিন ছুটি নিতে পারেন। অনেকের অভ্যাস থাকে খুব রেগে গেলে কিংবা খুব বেশি চাপের মধ্যে থাকলে জিমে গিয়ে অতিরিক্ত শরীরারচর্চা করে সেই রাগ কাটানোর, তবে একটানা অনেক ক্ষণ শরীরচর্চা মোটেই ভাল নয়। ঠান্ডা মাথায়, ধীরস্থির ভাবই শরীরচর্চা করা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন