PCOD Diet

হরমোনের হেরফেরে পিসিওডি-র সমস্যা বৃদ্ধি পায়, নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন, কী খাবেন না?

হরমোনের সমতা বজায় রাখতে হলে কয়েকটি খাবার যেমন নিয়মিত খেতে হবে, তেমন বেশ কয়েকটি খাবার জীবন থেকে বাদও দিতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৮
Share:

পিসিওডি থাকলে কী খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

পিসিওডি থাকলে মেদ ঝরানো কঠিন হয়ে পড়ে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হয়, রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়। তবে পিসিওডি হলে রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সবার আগে জরুরি। ওজন যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তা হলে এই রোগ আরও বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে। তাই ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে হবে। বাকিদের ওজন কমাতে যতটা কালঘাম ছোটে, পিসিওডি থাকলে তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হরমোনের সমতা বজায় রাখতে হলে কয়েকটি খাবার যেমন নিয়মিত খেতে হবে, তেমন বেশ কয়েকটি খাবার জীবন থেকে বাদও দিতে হবে।

Advertisement

হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ধরনের খাবার খাবেন?

ফল

Advertisement

পিসিওডি থাকলে ফল খেতে হবে বেশি করে। তবে যে ফলই খান, গোটা খেলে বেশি উপকার মিলবে। ফলের রস কিংবা ফল দিয়ে অন্য কোনও খাবার বানিয়ে খেলে চলবে না। বিশেষ করে বেরিজাতীয় ফল, কমলালেবু, আঙুর ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন বেশি খেলে ওজন কমানো অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। পিসিওডির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম ছাড়াও অনেক শাকসব্জি, শস্যতেও প্রোটিন আছে ভরপুর পরিমাণে। সেগুলি খেতে পারেন।

বাদাম

কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট পিসিওডি রোগীদের ওজন কমাতে সত্যিই কার্যকর। প্রোটিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ বাদামগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। পিসিওডি রোগীদের ডায়েট তাই বাদাম রাখতেই হবে।

হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ধরনের খাবার খাবেন না?

১) মিষ্টি পানীয়

দোকানে পাওয়া যায় এমন মিষ্টি পানীয়, চিনি দেওয়া ফলের রস রক্তে শর্করার বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এই কারণেই কিন্তু হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।

কফির মধ্যে যে পরিমাণ ক্যাফিন থাকে, তা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। ছবি: সংগৃহীত।

২) অতিরিক্ত ক্যাফিন

ঠান্ডায় গা গরম রাখতে ঘন ঘন কফি খান অনেকেই। কফির মধ্যে যে পরিমাণ ক্যাফিন থাকে, তা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।

৩) প্রক্রিয়াজাত খাবার

মুখরোচক প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে নিশ্চয়ই ভাল লাগে। কিন্তু তার ঠেলা সামলাতে জীবন বেরিয়ে যেতে পারে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে নুন, চিনি থাকে। ফলে রক্তে শর্করা, সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তার ফলে হরমোনের মাত্রা বিঘ্নিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন