Superfood for Gynocological Health

খাবার তালিকায় ছোট্ট বদলই কমাতে পারে ঋতুস্রাবের কষ্ট, সংক্রমণের ঝুঁকি, কী খাবেন?

হরমোনের ভারসাম্য, নিয়ম মেনে ঋতুস্রাব, সন্তান ধারণ— এই সবের সঙ্গেও সঠিক খাবার এবং পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ যোগ রয়েছে। খাদ্যতালিকায় কোন বদল ঋতুস্রাবের সময় কষ্ট, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৯
Share:

ঋতুস্রাবের কষ্ট কমবে, ঝুঁকি কমবে সংক্রমণেরও, কোন খাবার তালিকায় জুড়লে ভাল থাকবে স্বাস্থ্য? ছবি: ফ্রিপিক।

মন মেজাজ খারাপ, মানসিক চিন্তা বেড়েছে? বিষয়টি মানসিক হলেও, কিছু খাবার কিন্তু মন-মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। আবার হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও কাজে আসে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ঠিক তেমনই জননতন্ত্র সংক্রান্ত প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য ভাল রাখার নেপথ্যেও পু্ষ্টির ভূমিকা যথেষ্ট বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

হরমোনের ভারসাম্য, নিয়ম মেনে ঋতুস্রাব, সন্তান ধারণ— এই সবের সঙ্গেও সঠিক খাবার এবং পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ যোগ রয়েছে। ঋতুস্রাবের সময় কষ্ট, সংক্রমণ, ব্যথা-যন্ত্রণায় ভোগেন অনেকেই। কারও আবার পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমও থাকে।

এইমসের স্ত্রী রোগ চিকিৎসক বৈশালী শর্মা বলছেন, ‘‘খাবারের তালিকায় সামান্য বদলই এমন সমস্যার কষ্ট লাঘবে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। ছোট বদলেই অনেক তফাত হতে পারে।’’ বৈশালী মাঝেমধ্যেই লিখিত আকারে নানা রকম পরামর্শ দেন সমাজমাধ্যমে, ব্লগে। তিনি জানাচ্ছেন এমন কিছু খাবারের কথা যা হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে, ঋতুস্রাব নিয়মিত হতে সাহায্য করবে।

Advertisement

তিসির বীজ: অনেকেরই সময় মেনে ঋতুস্রাব হয় না। কারও আবার মাঝমধ্যে মাসখানেক ফাঁকও রয়ে যায়। ইদানীং পিসিওস এবং পিসিওডি-র মতো সমস্যা বাড়ছে, যার ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়।পিসিওসের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ডিম্বাশয়ে ধার ঘেঁষে ফোস্কার মতো সিস্ট জন্ম নেয়।শরীরে পুরুষালি বৈশিষ্ট্য চোখে পড়। অনিয়মিত ঋতুস্রাবও হয়। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, নিয়ম করে এক চা-চামচ তিসির গুঁড়ো খাবারে মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা কমবে। কারণ, তিসি ইস্ট্রোজেনকে সহজ ভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকলে সমস্যাও কমবে।

সব্জি: অনেক সময় ঋতুস্রাব বেশি হলে রক্ত কমে যায়। আবার রক্ত কমে গেলেও ঋতুস্রাবে সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন রকম সব্জি খেতে বলছেন চিকিৎসক। বিশেষত পালং, থোর, মোচা, মেথির মতো শাকসব্জি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হবে। আয়রন শরীরে রক্তের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

টক দই বা ইয়োগার্ট: টক দই বা ইয়োগার্ট অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। মহিলাদের যোনিপথে প্রায়ই ইস্ট বা ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ হয়। এই ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার।

হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা, যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। এন্ডোমেট্রিয়োসিস থাকলে যে ব্যথা-যন্ত্রণা হয় তার উপশমে সাহায্য করে হলুদ-দুধ। হালকা গরম হলুদ মেশানো দুধ খেলে কষ্ট কমে।

বাদাম: বাদাম এবং বীজ যেমন আখরোট, কাঠবাদাম, কাজু, চিনেবাদাম, কুমড়ো, তিসি, চিয়ার মতো বীজ শরীরে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জোগান দেয়। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে। ঋতুচক্র সঠিক ভাবে সম্পাদনে সাহায্য করে এতে থাকা পুষ্টিগুণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement