ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ময়দা এড়িয়ে চলেন। ছবি: সংগৃহীত
মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে যে খাবারগুলি এড়িয়ে চলেন অনেকেই, ময়দা সেই তালিকায় উপরের দিকেই থাকে। ময়দায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। অথচ কেক থেকে লুচি— ময়দা ছাড়া গতি নেই। উৎসবের মরসুমে প্রতি দিনই পাতে থাকছে এই ধরনের খাবারদাবার। রসনাতৃপ্তি হলেও, শরীরের ক্ষতি হয়। অনেকেই সেই জন্য ময়দার কিছু বিকল্প খোঁজেন। রইল ময়দার কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্পের সন্ধান।
রাগির আটা
এই আটা একটু লালচে দেখতে হয়। রোগা হওয়ার ডায়েটে রাগির আটার তৈরি রুটি খুব জনপ্রিয়। অনেকেই রোগা হতে এই রুটি খান। রাগির আটায় আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে হিমোগ্লোবিন কম রয়েছে যাঁদের, তাঁরা এই আটা খেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রুটি না বানিয়ে এই আটা দিয়ে দোসাও তৈরি করে নিতে পারেন। রাগিতে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য আটার চেয়ে কম। বরং রাগিতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে ময়দার বদলে খেতেই পারেন রাগির আটার রুটি।
জোয়ার
এই আটাতে ফাইবার বেশি পাওয়া যায়। জোয়ারের আটায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ অনেক কম। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে জোয়ারের আটা। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, জোয়ারে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। জোয়ারের রুটি খেলে শরীরের ক্যালশিয়ামের ঘাটতিও পূরণ হয়। বয়স বাড়লে হাড়ের যত্ন নিতে জোয়ারের রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতেও জোয়ার খুব উপকারী।
ময়দা খেতে না চাইলে বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন রাগির আটা। ছবি: সংগৃহীত
বাজরা
ওজন কমানোর সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়ক বাজরার রুটি। বাজরা ভাল ডিটক্সও করে। ত্বকের যত্নেও বাজরা দারুণ উপকারী। বাজরায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ অনেক কম। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বাজরার রুটি দারুণ উপকারী। তা ছাড়া, বাজরা গ্লুটেন-মুক্ত। ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। বাজরার রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। ওজন কমানোর জন্যও এই রুটি খুব কার্যকর।
ভুট্টা
এই আটায় ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। বাজরার মতো ভুট্টাও গ্লুটেন-মুক্ত। ভুট্টার আটায় ক্যালোরির পরিমাণও অনেক কম। নেই বললেই চলে। বরং ফসফরাস, অ্যান্টি-অ্যাক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি ৬ ভরপুর মাত্রায় থাকে। ময়দার বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতেই পারেন ভুট্টার আটা।