কোন কোন স্ন্যাক্স বানিয়ে দিলে স্বাস্থ্যরক্ষাও হবে, খুশিও হবেন অতিথিরা? ফাইল চিত্র।
পুজোর ক’টা দিন জমিয়ে ভূরিভোজ হয়েছে। নিয়ম ভেঙে মিষ্টিও খাওয়া হয়েছে দেদার। এ বার সামলানোর সময়। বিজয়া দশমী মানেই বাঙালি বাড়িতে নানা রকম মিষ্টির সম্ভার থাকবেই। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের মিষ্টি, ভাজাভুজি দিয়েই আপ্যায়ণ করা হবে। তবে এখন অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন। একটির বেশি দু’টি মিষ্টি দাঁতে কাটতে চান না। তার উপর ডায়াবিটিস থাকলে তো কথাই নেই। তাই দশমীর সন্ধ্যায় মিষ্টির পাশাপাশি অতিথিদের জন্য রাখুন স্বাস্থ্যকর কিছু স্ন্যাক্স।
কোন কোন স্ন্যাক্স বানিয়ে দিলে স্বাস্থ্যরক্ষাও হবে, খুশিও হবেন অতিথিরা?
ওট্সের কাটলেট
ওট্স অল্প জলে ভিজিয়ে সেই মিশ্রণটি মিক্সিতে বেটে নিন, তার পর তাতে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, টম্যাটো ও সব ধরনের মশলা দিয়ে টিক্কির আকারে গড়ে নিন। অল্প তেল মাখিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে সেঁকে নিলেই তৈরি সুস্বাদু জলখাবার।
প্রোটিন লাড্ডু
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ বা যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের কাছে ইদানীং প্রোটিন লাড্ডুর খুব কদর। নামে নতুন হলেও বাঙালি ঘরে এমন জিনিস নতুন কিছু নয়। গুড় দিয়ে যে ভাবে নারকেল,তিলের নাড়ু করা হয়, একই ভাবে প্রোটিনযুক্ত নানা রকম বাদাম বা বীজ একত্রে মিশিয়ে গুড় মিশিয়ে পাক দিন। ঠান্ডা করে এর পর লাড্ডুর আকারে গড়ে নিলেই হল। তিল, কুমড়ো বীজ, চিনাবাদাম,কাঠবাদাম– সব দিয়েই হতে পারে।
কর্ন চাট
ভুট্টার দানা ছাড়িয়ে সামান্য নুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। আবার একটি পাত্রে সিদ্ধ ভুট্টা, সামান্য মাখন, স্বাদ মতো নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, চাটমশলা, গোলমরিচ আর লেবুর রস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কর্ন চাট।
নাট বাটার এনার্জি বল
এক কাপের মতো রোল্ড ওট্স, আধ কাপ মাখন, আধ কাপের মতো মধু, এধ কাপ নানা রকম বীজ ও বাদাম নিয়ে নিন। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে ওট্স মেখে গোল গোল করে নিন। এ বার বেকিং সিটে রেখে ফ্রিজে আধ ঘণ্টার মতো রেখে দিন। খুব সুন্দর স্ন্যাক্স তৈরি হয়ে যাবে।
চিজ়ের সঙ্গে আনারসের স্ন্যাক্স
খুবইসহজবানানো।আধকাপেরমতোচিজ়নিয়েতারসঙ্গেআনারসেরটুকরোমিশিয়েনিন।উপরেএকচিমটেদারচিনিরগুঁড়োছড়িয়েফ্রিজেরেখেদিন।খিদেপেলেএইস্ন্যাক্সখেতেপারেন।খেতেওসুস্বাদুহবেএবংভাজাভুজিওমিষ্টিখাওয়ারপ্রবণতাওকমবে।