আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমবে কী কী খাবারে? ছবি: ফ্রিপিক।
শীতের সময়ে বাতের ব্যথা বেশি ভোগায়। ক্লান্তি ভাব, আলস্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যাঁরা দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করেন, তাঁদের পায়ের পাতায় ও গোড়ালিতে ব্যথাও বাড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা রাখা মাত্রই তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় গোড়ালিতে। হাঁটতে গেলে টান ধরে। হাত,কাঁধের যন্ত্রণাও ভোগায়। এর জন্য ব্যথানাশক ওষুধের উপর ভরসা করার প্রয়োজন নেই। বরং রোজের কিছু খাবারেই রোগমুক্তি ঘটতে পারে।
অস্থিসন্ধি বা দু’টি হাড়ের সংযোগস্থলে অর্থাৎ, হাড়ের আগায় সাদা রঙের রবারের মতো দু’টি তন্তুর মতো বস্তু থাকে। এদের কাজ অস্থিসন্ধির দু’টি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ কমানো। তা ছাড়া কোনও আঘাত লাগলে এগুলি ‘শক অ্যাবজরভার’ হিসাবে কাজ করে। কোনও কারণে ওই কার্টিলেজ ক্ষয়ে গেলে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয় এবং বাতের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রণা আরও বাড়ে। অস্থিসন্ধিতে থাকা কার্টিলেজ ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে যন্ত্রণা হয়। তাই এই সময়ে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা হাড়ের ক্ষয় ঠেকাতে পারে ও শরীরে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারে।
কী কী খাবেন?
সয় প্রোটিন
সয় প্রোটিন খুবই উপকারী। সপ্তাহে এক দিন খেতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেক দিন বেশি পরিমাণে সয় প্রোটিন খাওয়া করা ঠিক নয়। এক কাপ সয়াবিনে ৮.৫ গ্রাম এবং আধ কাপ টোফুতে পাবেন ১০ গ্রাম প্রোটিন।
আখরোট
ক্যানসার থেকে হার্টের অসুখ, সবই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আখরোট। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতেও জুড়ি মেলা ভার এই বাদামের। আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা প্রদাহ কমায়। রিউমাটয়েড হোক বা আস্টিয়োআর্থ্রাইটিস— যে কোনও রকম বাতের ব্যথা কমাতে পারে আখরোট।
ওট্স
স্বাস্থ্যসচেতন সব মানুষই ইদানীং ওট্স নামক খাবারটির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। আমিষ খাবার খান না এমন মানুষজনের ডায়েটে নিয়মিত ওট্স রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। ওট্স খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস পায়। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি খান
ওজন কমাতে এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সেই বাতের ব্যথা সারাতেও গ্রিন টি কম উপকারী নয়। শরীরে প্রদাহনাশক সমস্যা দূর করতে গ্রিন টি-র উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন। বাতের ব্যথা কমাতেও এই চায়ের উপকারিতা কম নয়।
ভিটামিন সি খান
আর্থরাইটিস হাতের মুঠোয় রাখতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। সাইট্রাস জাতীয় ফল, ফুলকপি, স্ট্রবেরি, চেরি, বেল পেপারের মতো ফল এবং সব্জি বেশি করে খান।