বোতলে থাকা পুরনো জলের সঙ্গেই নতুন করে জল মিশিয়ে নিচ্ছেন? ফলাফল জানেন কি? ছবি: সংগৃহীত।
অফিস হোক বা বাড়ি। বোতল বসানোই থাক। বোতল খালি হোক বা না হোক, অনেকে সেই বোতলেই নতুন করে জল ভরেন। কেউ আবার বোতলে যে টুকু জল পড়ে থাকে সেটা ফেলে দিয়ে নতুন করে জল ভরে নেন। ধোয়াধুয়ির বালাই নেই। যেটুকু ধোয়া হয়, তা নামমাত্র। এমন ব্যবস্থায় অভ্যস্থ কি আপনিও? কতটা ক্ষতিকর এমন অভ্যাস?
জলের বোতল হলেও তা থেকে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে বলছেন চিকিৎসকেরা। এই না ধোয়া জলের বোতলেই লুকিয়ে থাকে জীবাণু, ছত্রাক। আপাতদৃষ্টিতে যা পরিষ্কার মনে হচ্ছে, তা হয়ে উঠতে পারে অসুখের আঁতুড়ঘর। জলের মাধ্যমেই ব্যাক্টিরিয়া মানবশরীরে প্রবেশ করে। প্রশ্ন আসতেই পারে, তা হলে কি নিয়মিত বোতল ধোয়া দরকার? নাকি কয়েকদিন অন্তরও বোতল পরিষ্কার করা যেতে পারে?
অনেকেই বোতলে মুখ দিয়ে জল খান। সেই সময় মুখ গহ্বরে থাকা রোগ জীবাণু জলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মুখে থাকা খাদ্যকণাও সেই সময় জলে মিশতে পারে। তা থেকেই রোগ-জীবাণু বেড়ে উঠতে পারে। সেই কারণে, বোতলের পুরনো জলের মধ্যে নতুন জল ঢালাও ঠিক নয়। তাই বলা হয়, একজনের জলের বোতল অন্যকে দেওয়া উচিত নয়। বিশেষত অসুস্থ মানুষের বোতলে জল খাওয়া একেবারেই অনুচিত।
সবচেয়ে ভাল হয়, নিয়মিত জলের বোতল সাবান দিয়ে পরিষ্কার করলে। প্রথমেই বোতলে যে টুকু জল আছে তা ফেলে দিতে হবে। তার পর বোতল তরল সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। অনেক সময় বোতলে গন্ধ হয়। পাতিলেবুর রস বা জলে সাদা ভিনিগার মিশিয়ে তা দিয়েও বোতল ধোয়া যেতে পারে। পাতিলেবু এবং ভিনিগারের অ্যাসিড জাতীয় উপাদান দুর্গন্ধ এবং রোগ-জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। গরম জলে পরিষ্কার করলেও হবে। বোতল সাবান দিয়ে ধোয়ার পরে রোদে বা হাওয়ায় বোতল শুকিয়ে নিলেও, সংক্রমের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। দুর্গন্ধও হবে না।