সবুজ রং মেশানো সব্জি চিনবেন কী ভাবে? ছবি: ফ্রিপিক।
সব্জি টাটকা দেখাতে তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে, কৃত্রিম রং। এমনটাই জানিয়েছে খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই)। দীর্ঘ দিন হিমঘরে রাখা সব্জি বা পচন ধরেছে এমন সব্জি তাজা দেখাতে প্রায়শই এমন কৃত্রিম রঙের ব্যবহার হয়। এফএসএসএআই আরও জানাচ্ছে, শীতের কড়াইশুঁটিতেও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম সবুজ রং। বাদ যাচ্ছে না শাকপাতাও। এই ধরনের রং শরীরে গেলে লিভারের জটিল অসুখ করতে পারে।
মূলত দু’টি কারণে সব্জিতে রং মেশানো হয় বলে জানাচ্ছে এফএসএসএআই। এক, সব্জি যাতে দ্রুত পচে না যায় সে জন্য কৃত্রিম রং মেশানো হয়। দুই, দীর্ঘদিন রঙটা সবুজই থাকে। দেখে মনে হবে সেই সব্জি খুবই টাটকা। আবার ভিন রাজ্যে যে সব্জি যায় তাতে বেশি রং মেশানো হয়। কারণ সেই সব্জি গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগে। যাঁরা সব্জি কিনছেন তাঁদের পক্ষে রং করা সব্জি বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু এফএসএসএআই এমন এক পদ্ধতি জানিয়েছে, যাতে কৃত্রিম রং মেশানো সব্জি চেনা সম্ভব হয়।
কী ভাবে রং মেশানো সব্জি চিনবেন?
১) একটি বড় কাঁচের প্লেটে সব্জিগুলি রাখুন।
২) জল মিশিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন।
৩) রং মেশানো না থাকলে জল স্বচ্ছই থাকবে। কিন্তু কৃত্রিম রং থাকলে তা জলের সঙ্গে মিশতে শুরু করবে।
এফএসএসএআই জানাচ্ছে, কৃত্রিম সবুজ রঙে ট্রাইঅ্যারিলমিথেন ডাই, অ্যাসিড গ্রিন, লিসামিন গ্রিন নামক রাসায়নিক থাকে। তা ছাড়া তুঁতে রঙও মেশানো হয়। এইসব রঙের রাসায়নিক পেটে গেলে সংক্রমণ হতে বাধ্য। তা ছাড়া লিভারের জটিল রোগ, কিডনির রোগও হতে পারে। তাই সব্জি কিনে আনার পরে এই সহজ পরীক্ষাটি করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে এফএসএসএআই।