ঊর্ধ্ব হস্তাসনের উপকারিতা অনেক, কী ভাবে করবেন জেনে নিন। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
কোমরের নীচ থেকে ঊরু হয়ে পায়ের পাতা অবধি যন্ত্রণা ছড়ায়। মানবদেহের দীর্ঘতম সায়াটিকা স্নায়ুর ব্যথা হলে তার যন্ত্রণা দীর্ঘ দিন ধরে ভোগায়। পায়ে জ্বালা, অসাড় ভাব, পেশিতে দুর্বলতা, হঠাৎই ঝনঝনে ব্যথা বা সুচ ফোটানোর মতো ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। সায়াটিকার ব্যথার জেরে স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। এমনকি, দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকলেও এই ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। ব্যথা কমাতে পেনকিলার, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিয়ে প্রাথমিক ভাবে কিছুটা উপকার পেলেও দীর্ঘমেয়াদে সমাধান পাওয়া যায় না। সে দিক থেকে যোগাসনের কিছু পদ্ধতি উপকারে আসতে পারে। ঊর্ধ্ব হস্তাসন তেমনই একটি আসন, যা নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে সায়াটিকার ব্যথাকে জব্দ করা যায়।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। পায়ের পাতার মধ্যে কিছুটা দূরত্ব রাখুন।
২) হাত দু’টি দু’পাশ থেকে তুলে, কনুই ভাঁজ করে নিয়ে যান মাথার পিছন দিকে। এ বার দু’হাতের আঙুল একসঙ্গে করে হাতের তালু রাখুন মাথার পিছন দিকে।
৩) এ বার শ্বাস নিতে নিতে হাত দু’টি মাথার উপর দিয়ে প্রসারিত করুন। গোড়ালি মাটি থেকে উপর দিকে তুলুন। মাটিতে শুধুমাত্র আঙুল স্পর্শ করে থাকবে। এই অবস্থায় গোটা শরীরেই টান অনুভব করবেন। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ওই ভঙ্গিমায় থাকুন।
৪) পায়ের আঙুলের উপর গোটা শরীরের ভার বহন করতে হবে। যদি বেশি ক্ষণ পায়ের আঙুলের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে না পারেন, তা হলে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন।
৫) এ বার গোড়ালি ধীরে ধীরে মাটির উপর রাখুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
কেন করবেন ঊর্ধ্ব হস্তাসন?
শরীরের সমস্ত পেশি মজবুত হবে।
শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
পায়ে ব্যথা, সায়াটিকার মতো ব্যথা কমবে।
সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
উচ্চতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই যোগাসন।
কারা করবেন না?
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করা যাবে না।
রক্তচাপ খুব বেশি থাকলে এই আসন না করাই ভাল।
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করবেন না।
মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন অভ্যাসের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।