ছবি : সংগৃহীত।
স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগছেন অল্পবিস্তর সকলেই। স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে যাঁরা স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকে দৈনন্দিন রুটিনের অঙ্গ বানিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের কথা আলাদা। কিন্তু এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা সচেতন হয়েও শরীরে জমা বাড়তি মেদ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি এই ধরনের সমস্যায় কিছু বাড়তি উপায়ও দরকার। যা মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়াটিকে আরও জোরদার করে তুলবে। তেমনই এক উপায় হতে পারে তেঁতুলের জল।
সাধারণত তেঁতুলের জল বললে ফুচকার কথাই মনে পড়বে অধিকাংশ বাঙালির। আবার ঘুঘনির বাটির উপরেও তেঁতুলের জল ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তেঁতুল জল অনেকে চাটনি বানাতেও ব্যবহার করেন। ব্যবহার করেন টকের ডাল বানানোর জন্য কিংবা কোনও টক জাতীয় রান্নায়। সেই তেঁতুল জলের কী কী গুণ আছে জানেন কী?
১। তেঁতুলে রয়েছে সল্যুবল ফাইবার। যা পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ফলে উপর্যুপরি খাওয়ার সমস্যা এড়ানো যায়। যা পরোক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২। তেঁতুলে রয়েছে ভরপুর ফ্ল্যাভোনয়েড। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এমনকি, শরীর যখন বিশ্রামে থাকে, তখনও ক্যালোরি ভাঙার কাজ করে তেঁতুল।
৩। হজমে সাহায্য করে তেঁতুল। এতে রয়েছে ল্যাক্সেটিভ উপাদান। যা কোষ্ঠের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পেটফাঁপার সমস্যাও দূর করে। পেট এবং কোমরের টানটান ভাব বজায় রাখতে যা কার্যকরী।
৪। তেঁতুলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের ফ্যাট জমিয়ে রাখার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। যা দীর্ঘ মেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫। এটি শরীরে অস্বাস্থ্যকর মেদ জমিয়ে রাখার অন্যতম কারণ হল শরীরে জমতে থাকা দূষিত পদার্থ। তেঁতুলের জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দিতে সাহায্য করে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন তেঁতুলজল?
পুষ্টিবিদ রিমা কৌর বলছেন, ‘‘অল্প পরিমাণে পাকা তেঁতুল (আধ চা চামচ) জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ঘণ্টা দু’য়েক। তার পরে তেঁতুলের ওই জল ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তার পরে ভাল ভাবে ছেঁকে নিয়ে কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন।’’ এটি সকালে খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ।