শরীরচর্চার পরে খেতে পারেন প্রোটিন সমৃদ্ধ মুখরোচক একটি খাবার। ছবি: ফ্রিপিক।
রোজ রোজ প্রোটিন ড্রিঙ্ক খান? দোকান থেকে কেনা প্রোটিন ড্রিঙ্ক কিন্তু শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। এতে চিনির মাত্রা এতটাই বেশি থাকে, যে ক্যালোরি বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। এ দিকে শরীরচর্চার পরে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়। পেশির সক্ষমতা বাড়াতে ও ওজন ধরে রাখতে প্রোটিন ডায়েট করছেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে দোকান থেকে কেনা প্রোটিন পাউডারের বদলে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন প্রোটিন সমৃদ্ধ ফ্রেঞ্চ টোস্ট। খেতেও সুস্বাদু, খেলে পুষ্টির ঘাটতিও মিটবে।
এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা দেহের ওজনের সমানুপাতিক। প্রতি কিলো ওজন পিছু দৈনিক ০.৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ, কারও ওজন যদি ৫০ কেজি হয় তবে তাঁর প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। তবে যাঁরা খেলোয়াড় এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই চাহিদা কিছুটা বেশি। তাঁদের দেহের প্রতি কিলো ওজনের জন্য, দৈনিক দেড় থেকে দুই গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। তবে মনে রাখতে হবে, এক জন সাধারণ মানুষ যখন জিমে ঘাম ঝরান, তখন তাঁর এই অতিরিক্ত প্রোটিনের প্রয়োজন নেই। সঠিক খাদ্যাভ্যাসই দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে যথেষ্ট। কী খেলে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে তা জেনে রাখা ভাল।
হাই প্রোটিন ফ্রেঞ্চ টোস্ট কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ
৪ পিস হোলগ্রেন পাউরুটি
৩টি ডিমের সাদা অংশ
১/৪ কাপ আমন্ড বা সয়া দুধ
১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো
১ চামচ ভ্যানিলা প্রোটিন পাউডার
১ চামচ নারকেল বা অলিভ অয়েল
প্রণালী
একটি পাত্রে প্রোটিন পাউডার, দুধ, ডিমের সাদা অংশ, দারচিনির গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। সে ক্ষেত্রে ২টি ডিমের সাদা অংশ ও একটি গোটা ডিম নিতে পারেন। তাতে কুসুমটিও মিশবে। এ বার সেই মিশ্রণে পাউরুটি ডুবিয়ে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলে কম আঁচে ভেজে নিন। এই ফ্রেঞ্চ টোস্ট খেলে ওজন বাড়বে না, বদলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে।