আয়ু আর কত দিন, মাত্র ১০ সেকেন্ডেই বোঝা যাবে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
আপনি কত দিন বাঁচবেন? এই সব প্রশ্ন মনে এলে, মাত্র ১০ সেকেন্ডের একটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। পরীক্ষায় যে পাশ করবেনই তা নয়, বরং ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে তাতে আঁচ করা যাবে, আপনার শরীর আগামী দশ বছরে ঠিক কেমন থাকবে।
আয়ু কিসে বাড়বে, সে নিয়ে গবেষণা চলছে চতুর্দিকে। কেউ ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন, আবার কেউ জোর দিচ্ছেন যাপন পদ্ধতিতে। বৃদ্ধ হওয়ার বয়স কী ভাবে থমকে রাখা যায়, সে নিয়ে বিশ্ব জুড়েই বিজ্ঞানীরা মাথা ঘামাতে শুরু করেছেন। ব্রাজিলের এক গবেষণা সংস্থা ‘এক্সারসাইজ় মেডিসিন ক্লিনিক’ মাত্র ১০ সেকেন্ডের একটি পরীক্ষার কথা জানিয়েছে। ৪২৮২ জনের উপর পরীক্ষাটি করে দেখাও হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৪৬ থেকে ৭৫ বছর। ১২ বছর ধরে পরীক্ষাটি করে দেখা হয়। আর তাতেই গবেষকেরা দাবি করেন, ১০ সেকেন্ডের পরীক্ষায় যাঁরা উতরে গিয়েছেন, তাঁরা সুস্থ শরীরে আরও ১০ বছর বেঁচেছেন। অর্থাৎ, হার্টের ব্যামো, কিডনির রোগ, বাতের ব্যথা কিছুই নাকি ধরেনি তাঁদের।
পরীক্ষাটি কী?
এক ধরনের ‘ফিটনেস টেস্ট’। এর নাম ‘সিটিং-রাইজ়িং টেস্ট’ (এসআরটি)। সময় মাত্র ১০ সেকেন্ড। তার মধ্যেই কারও সাহায্য ছাড়া এবং কোনও কিছু অবলম্বন না করেই মাটিতে বসতে হবে আবার নিজে থেকে উঠতেও হবে। ওঠা বা বসার সময়ে কোনও কিছু ধরা যাবে না। কারও শরীরে ভর দেওয়া যাবে না। দাঁড়ানো অবস্থা থেকে সটান মাটিতে বসতে হবে আবার একই ভাবে সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ১০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি এটি কেউ করতে পারেন, তা হলে বুঝতে হবে তিনি নীরোগ শরীরে আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ বছর তো বাঁচবেনই। ওই দশ বছরে তাঁর হার্টের কোনও অসুখও হবে না। ক্যানসারের মতো মারণ রোগের আশঙ্কাও কমবে। তবে পরীক্ষাটি এক বার করলে বোঝা যাবে না, অন্তত পাঁচ থেকে ছয় বার করে দেখতে হবে। তার মধ্যে যদি শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং ওঠাবসা করতে গিয়ে পড়ে না যান, তা হলে আপনি দীর্ঘায়ু হবেন, এতে কোনও সন্দেহই নেই। অন্তত গবেষকদের তাই দাবি।
আয়ু কত জানতে ‘ব্যালান্স টেস্ট’ আগেও হয়েছে। এক পায়ে কত ক্ষণ দাঁড়ানো যাবে, এই ধরনের পরীক্ষার কথা আগেও বলেছিলেন নানা দেশের গবেষকেরা। তবে এই সাহায্য ছাড়া ওঠা ও বসার পরীক্ষাটি নিয়ে এই মুহূর্তে খুব চর্চা চলছে। সত্যিই এতে আয়ু বোঝা যাবে কি না, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তেমন ভাবে প্রমাণিত নয়, তবুও শরীরের ভারসাম্য ঠিক আছে কি না, জানতে পরীক্ষাটি বাড়িতে করে দেখতেই পারেন।