Dengue

বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, বর্ষার মরসুমে খুদেকে সংক্রমণের হাত থেকে কী ভাবে বাঁচাবেন?

গত জুলাই থেকে প্রায় এক মাসে এ নিয়ে মশাবাহিত রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দশ। সেই তালিকায় রয়েছেন, বৃদ্ধ থেকে শিশু সকলেই। এই সময় শিশুদের জ্বর হলে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা নিতে বলছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১২:০৬
Share:

কী ভাবে ডেঙ্গির হাত থেকে রেহাই পাবে খুদেরা? ছবি: শাটারস্টক।

রাজ্য জুড়ে ফের বাড়ছে ডেঙ্গির চোখরাঙানি। গত জুলাই থেকে প্রায় এক মাসে এ নিয়ে মশাবাহিত রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দশ। সেই তালিকায় রয়েছেন, বৃদ্ধ থেকে শিশু সকলেই। এই সময় শিশুদের জ্বর হলে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা নিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। শিশুদের জ্বর হলে গড়িমসি না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের নির্দেশে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসকের বক্তব্য, শিশুদের জ্বরে বয়স ও ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ বিশেষ করে আইব্রুফেন দেওয়া উচিত নয়। কারণ, ডেঙ্গি হলে আইব্রুফেন হেমারেজের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। জ্বর যদি বেশি হয়, তখন মাথায় জলপট্টি দিতে হবে এবং ঈষদুষ্ণ জলে গা-হাত-পা স্পঞ্জ করিয়ে দেওয়া দরকার।

Advertisement

এ সময়ে জ্বর, সর্দি, পেটে ব্যথা দিয়ে রোগের সূত্রপাত। এই অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই সময়ে শিশুদের যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। এই সময়ে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও জলীয় খাবার দিতে হবে। নিয়ম করে রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা পরীক্ষা করাতে হবে। তবে যদি বমি হয়, তা হলে শিশুকে ভর্তি করার দরকার হতে পারে। যদি জ্বরের মধ্যে শিশুদের প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় (দিনে ৭/৮ বারের কম প্রস্রাব হয়) তা হলে ঝুঁকি না নিয়ে খুদেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার। এর সঙ্গে যদি শিশুটি জানায় যে, বুকে বা পেটে ব্যথা করছে, তা হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার।

শিশুদের রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধির জন্য ডায়েটের উপর নজর দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

সংক্রমণ এড়ানোর উপায় কী?

Advertisement

১) বাড়িতেই হোক কিংবা বাড়ির বাইরে বেরোলেই শিশুদের মশা তাড়ানোর ক্রিম গায়ে মাখিয়ে রাখুন, ফুলহাতা জামা আর ফুল ট্রাউজ়ার পরিয়ে রাখুন।

২) যত অনভ্যাসই থাক, শিশু আর নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বর্ষার ক’দিন মশারির ভিতর ঘুমোনোর অভ্যাস করুন।

৩) জল সে নোংরা হোক বা পরিষ্কার, কিছুতেই জমে থাকতে দেবেন না। জলের বালতি ঢেকে রাখুন। বাড়ির চারপাশে যেন কোনও ভাবেই জল না জমতে পারে সে দিকে কড়া নজর রাখুন। প্রয়োজনে কর্পোরেশন, স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করুন সত্বর। জানলায় মশা আটকানোর নেট লাগিয়ে রাখুন।

৪) ভেষজ কোনও কোনও ধূপেও মশা যায়। সে সব প্রয়োগ করতেই পারেন বাড়িতে। বাড়িতে মশা নিরোধক তেল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মশা তাড়ানোর জন্য কর্পূর জ্বালিয়ে রাখতে পারেন বাড়িতে। ইউক্যালিপটাস, তুলসী, লেমনগ্রাস— এই সব গাছ কিনে বাড়িতে রাখতে পারেন, এদের গন্ধে মশা দূরে থাকে।

৫) শিশুদের রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধির জন্য ডায়েটের উপর নজর দিতে হবে। খুদেকে বেশি করে ব্রকোলি, দই, টকজাতীয় ফল, পালংশাক, বাদাম খাওয়াতে হবে। শুধু তা-ই নয়, খুদে যেন বেশি করে জল খায় সে দিকেও নজর রাখতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement