ঋতুস্রাবের দ্বিতীয় দিনে কী কী জানা যেতে পারে? ছবি : শাটারস্টক।
সন্তানধারণের পরিকল্পনা করলেন আর তা সহজেই সফল হল— এমন সৌভাগ্য সবার হয় না। তার কারণ, সন্তানধারণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে জুড়ে থাকে অনেক রকমের শারীরিক শর্ত। তার মধ্যে সবচেয়ে জরুরি যেটি, সেটি হল— যিনি সন্তানধারণ করছেন, তাঁর প্রজননের ক্ষমতা বা ফার্টিলিটি। সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে অবশ্যই পুরুষের প্রজনন ক্ষমতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে মহিলারা চাইলে তাঁদের প্রজননের স্বাস্থ্য পরখ করে দেখতে পারেন তাঁদের ঋতুস্রাবের দ্বিতীয় দিনে। অন্তত তেমনই বলছেন এক চিকিৎসক।
দুবাইয়ের বাসিন্দা ভারতীয় স্ত্রীরোগ চিকিৎসক শালিনী বর্মা সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘ঋতুস্রাবের দ্বিতীয় দিনে মহিলাদের শরীর অনেক কিছুই জানান দেয়। যা আপনি ভাবতেও পারবেন না।’’
কেন এমন হয়, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘‘যদি সন্তানধারণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে এই দিনটির কথা আগে থেকে মাথায় রাখুন। হরমোনের ভারসাম্য থেকে শুরু করে করা ডিম্বাশয় এবং ডিম্বাণুর স্বাস্থ্য— এই সব কিছুই জানা যায় ঋতুস্রাবের দ্বিতীয় দিনে।’’
সাধারণত ঋতুস্রাবের দ্বিতীয় দিনটিতে নানা ধরনের যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মহিলাদের। পেটে যন্ত্রণা, মেজাজ খারাপ হওয়া, হজমের সমস্যা, পেটখারাপ হওয়ার মতো সমস্যা লেগেই থাকে। কিন্তু শালিনী বলছেন, এর বাইরেও শারীরিক দিক থেকে ওই দিনটির অন্য গুরুত্ব রয়েছে। যে কারণে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির নানা রকম চিকিৎসার জন্যও ওই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়।
কিন্তু তার জন্য কী করতে হবে?
শালিনী জানাচ্ছেন, সন্তানের জন্য পরিকল্পনা করলে অনেকেই স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি কাজ আপনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই এগিয়ে রাখতে পারেন। শালিনী বলছেন, ‘‘ঋতুস্রাবের দ্বিতীয় একটি অ্যান্ট্রাল ফলিকল কাউন্টের পরীক্ষা করান। হরমোনের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করান একই সঙ্গে।’’ চিকিৎসকের পরামর্শ, ওই পরীক্ষা করানোর আগে ৮ ঘণ্টা না খেয়ে থাকুন। অর্থাৎ সকালে পরীক্ষা করালে তার ৮ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে হবে।
কী কী পরীক্ষা করাতে হবে?
অ্যান্ট্রাল ফলিকল কাউন্ট জানার জন্য ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসাউন্ড, অ্যান্টি মুলেরিয়ান হরমোনের পরীক্ষা, লিউটেনাইজ়িং হরমোনের পরীক্ষা, ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোনের পরীক্ষা। এ ছাড়া ভাল ভাবে রাতে ঘুমনোর পরে সকাল ১১টার সময় প্রোল্যাকটিনের পরীক্ষাও করাতে বলছেন শালিনী। তিনি বলছেন, এই পরীক্ষাগুলির ফলাফল বলে দেবে, এক জন মহিলার প্রজননের স্বাস্থ্য কী অবস্থায় রয়েছে।