প্রতীকী চিত্র।
বর্তমান ব্যস্ত জীবনযাত্রায় ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ক্রমশ ঊর্ধমুখী। ডায়েটে ভাজাভুজির উপস্থিতি, মদ্যপান সহ নানা কারণে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, ডায়েটে কয়েকটি পানীয়ের সংযুক্তি যকৃতে ফ্যাটের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
১) বিটের রস: ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি দিতে পারে বিট। এর মধ্যে থাকে বিটালেন নামক এক প্রকারের যৌগ, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। দেহে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ ছাড়াও প্রদাহের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে বিট। নিয়মিত বিটের রস খেলে যকৃতের কোষের উন্নতি হয়। পাশাপাশি, ফ্যাটের পরিমাণও ধীরে ধীরে কমে যায়।
২) গ্রিন টি: এই চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই চা যকৃতের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সার্বিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। যাঁরা ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন টি পান করা যেতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা এই চায়ের সঙ্গে কোনও রকম চিনি বা মধু না মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেন।
৩) কফি: কফির উপকার বা অপকারিতা নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। তবে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে কফি। কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন এবং পলিফেনলগুলি যকৃতে ফ্যাট জমতে দেয় না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে লিভার ফাইব্রোসিস রোধ করতে সাহায্য করে কফি।
উল্লেখ্য, তিনটি পানীয়কে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডায়েটে রাখা যেতে পারে। কোনওটি অতিরিক্ত পান করলে হীতে বিপরীত হতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশে লিখিত। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা গুরুতর হলে সর্বাগ্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।