Kiara Advani Diet

আশ্চর্য প্রাতরাশই মূলমন্ত্র! প্রথম বার ‘বিকিনি বডি’তে কিয়ারা, কী ভাবে বানানো হত ছাতুর সরবত?

‘ওয়ার ২’ ছবির গানের দৃশ্যে নজর কেড়েছে কিয়ারা আডবাণীর ‘বিকিনি-বডি’। কৃচ্ছ্রসাধন বা কঠোর খাদ্যাভ্যাস নয়, কেবল সুস্থ যাপনের কৌশল মেনেই লক্ষ্যভেদ করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৬
Share:

কিয়ারা আডবাণীর খাদ্যাভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত।

কিয়ারা আডবাণীকে নতুন রূপে দেখল দর্শক। ‘ওয়ার ২’ ছবির গানের দৃশ্যে হৃতিক রোশনের সঙ্গে তাঁর রসায়নের থেকেও বেশি নজর কেড়েছে তাঁর ‘বিকিনি-বডি’। রংবেরঙের বিকিনি পরে দেখা গিয়েছে কিয়ারাকে। দেহের আকারের এমন পরিবর্তন আগে দেখা যায়নি তাঁর। কিন্তু কী ভাবে লক্ষ্যভেদ করেছেন? কৃচ্ছ্রসাধন নয়, কঠোর খাদ্যাভ্যাস নয়, কেবল সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কৌশল মেনেই ‘বিকিনি-বডি’ পেয়েছেন বলি অভিনেত্রী। কিয়ারার এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন পুষ্টিবিদ নিকোল লিনহারেস কেডিয়া।

Advertisement

সম্প্রতি নিকোল কিয়ারার ‘বিকিনি-বডি’র নেপথ্য রহস্যের কথা জানালেন। তিনি জানান, কিয়ারার খাদ্যাভ্যাস এমনিতেই পরিশীলিত। ঘরের খাবারই পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু ক্যামেরার সামনে নিখুঁত ‘বিকিনি-বডি’ পাওয়ার জন্য ছোটখাটো বদল আনতে হয়েছিল তাঁকে। সাহায্য করেছেন নিকোল। তাঁর কথায়, ‘‘সবচেয়ে কঠিন ছিল ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ভারসাম্য বজায় রাখা। বিশেষ করে, প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে ক্যালোরি কমানো। অর্থাৎ রান্নার তেল থেকে শুরু করে চিজ়ের সামান্য টুকরোরও হিসেব রাখতে হত। পাশাপাশি, খাওয়াদাওয়ার প্রতি যাতে বিতৃষ্ণা না জন্মে যায়, সেটিও নজরে থাকত।

‘ওয়ার ২’ ছবির গানের দৃশ্যে হৃতিক রোশন এবং কিয়ারা আডবাণী। ছবি: সংগৃহীত।

প্রাতরাশ: এটিই ছিল সবচেয়ে জরুরি মিল। দীর্ঘ ক্ষণ শুট করার আগে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি জোগাতে ভারী খাবার খেতে হত কিয়ারাকে। প্রাতরাশে থাকত ওটস্ ও আখরোটের আটা দিয়ে তৈরি প্যানকেক। তার মধ্যে আবার প্রোটিন পাউডারও থাকত। প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য প্যানকেকে রাখা হত মঙ্ক ফ্রুটের নির্যাস (দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে দক্ষিণ চিনে পাওয়া যায় এই ফল) বা মেপ্‌ল সিরাপ। উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হত বেরি ও ঘরে তৈরি হেজ়েলনাট বাটার। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর প্রাতরাশ দিয়ে দিন শুরু হত কিয়ারার।

Advertisement

মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজ: দুপুরে ও রাতের খাবারে কোনও কঠোর নিয়মাবলি ছিল না। গ্রিলড্‌ চিকেন, হালকা ভাবে রান্না করা ভারতীয় তরকারি, তা ছাড়া বেবি পট্যাটো ও অ্যাস্পারাগাসের মতো সব্জিও থাকত তাঁর পাতে। সঙ্গে নানা ধরনের ডিপ বানানো হত কিয়ারার জন্য। যেমন এডামামে-পেস্তো হামাস অথবা অ্যাভোকাডো দিয়ে বানানো ডিপও থাকত।

কিয়ারার খাবারের তালিকা ঠিক করা হত তাঁর শরীরচর্চার ভিত্তিতে। প্রসেস করা খাবার একেবারেই বাদ ছিল। টাটকা বানানো খাবার খেতে দেওয়া হত তাঁকে। শরীরর্চার পর বিশেষ পানীয় পান করতেন অভিনেত্রী। প্রোটিন শেক নয়, বরং ঘরে বানানো ডিটক্স ওয়াটার খেতেন তিনি। যেটিতে থাকত ছাতু, জিরে ও ধনেপাতা। এই ঠান্ডা পানীয় শরীরকে শীতল রাখত। ব্যায়ামের পর শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হত তাতে।

‘বিকিনি-বডি’ পেতে খাদ্যাভ্যাসে আমূল বদল আনতে হয়নি কিয়ারাকে। বরং সচেতন ভাবে খাবার বেছে নেওয়া, খাবার খাওয়ার সময়, এবং শৃঙ্খলা— এই ছিল তাঁর মূলমন্ত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement