নেহার ২১ দিনের চ্যালেঞ্জ কী। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যই সম্পদ। আর সেই সম্পদের অধিকারী হওয়ার তাড়নায় নিজের জীবনে বড়সড় চ্যালেঞ্জ নিলেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। হাতে রইল ঠিক ২১টি দিন। তার মধ্যেই নিজের সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে হবে তাঁকে। কোনও ওষুধ নয়, বিশেষ চিকিৎসা নয়, কেবল ঘরোয়া টোটকার প্রয়োগ করতে চলেছেন ৪৫ বছরের অভিনেত্রী।
রোজের খাওয়াদাওয়া, ঘুম, মানসিক চাপ— অর্থাৎ জীবনযাত্রার ছোটখাটো ভুলের কারণে শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এই প্রদাহের মোকাবিলা করার জন্যই পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানির পরামর্শ মতো ২১ দিনের চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন নেহা। কেবল নিজে নয়, অন্যদেরও এই যাত্রার শরিক হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী। তিনি বলছেন, ‘‘আমি ২১ দিনের এই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছি। শরীর থেকে প্রদাহ দূর করাই এর মূল উদ্দেশ্য। আপনাদের সত্যি বলছি, সম্পূর্ণ ঘরোয়া টোটকা মেনে চলছি আমি।’’
কোন নিয়ম মেনে চলবেন নেহা?
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বিশেষ টোটকা প্রয়োগ করবেন নেহা। প্রয়োজন পড়বে হেঁশেলের পাঁচটি উপকরণের। কাঁচা হলুদ, কালোজিরে, আদা, গোলমরিচ এবং এমসিটি অয়েল। ঘরে এমসিটি অয়েল না থাকলে ঘি, নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলেও একই কাজ হবে। এমসিটি অয়েলের মতো ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যাবে ঘি, নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েলেও।
নেহার টোটকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
কী ভাবে বানাবেন?
কাঁচা হলুদ ও গোলমরিচ গুঁড়ো করে নিতে হবে প্রথমে। তার পর এই দুইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে কালোজিরে ও আদা। খানিকটা জল মিশিয়ে বরফ তৈরির ট্রে-তে ভরে ফ্রিজ়ারে রেখে দিতে হবে। পর দিন সকালে খালিপেটে একটি পাত্রে ওই বরফের টুকরো নিয়ে তাতে গরম জল ঢালতে হবে। তাতে এক চা-চামচ এমসিটি অয়েল বা অন্য তিন বিকল্প উপকরণ ঢেলে পান করে নিতে হবে।
উপকারিতা কী?
আদা ও কাঁচা হলুদে প্রাকৃতিক প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শরীরে সমস্ত পুষ্টিগুণ যাতে ভাল ভাবে শোষিত হয়, তার খেয়াল রাখে গোলমরিচ। কালোজিরেতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষমতা রয়েছে। তা ছাড়া এমসিটি অয়েলের পাশাপাশি ঘি বা নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলেরও পুষ্টিগুণ শোষণের ক্ষমতা রয়েছে। সব মিলিয়ে সকাল সকাল এই টোটকা নানাবিধ উপায়ে শরীরকে ঠান্ডা, শীতল এবং সতেজ করতে পারে বলে মত পুষ্টিবিদের। এর ফলে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি হজমশক্তি বৃদ্ধি করা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও কার্যকরী এই কৌশল।
কাদের জন্য নিষেধ?
সকলের জন্যই এই টোটকা কার্যকরী হতে পারে, তবে গলব্লাডারে পাথর থাকলে অথবা গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগলে কিংবা যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁদের জন্য আদা ও হলুদ অতিরিক্ত সেবন সুপারিশ করা হয় না। পুষ্টিবিদের পরামর্শ, প্রথম দিন কয়েক এই টোটকা প্রয়োগ করে দেখতে হবে, শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে। অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।