নেপালি স্যালাড খেয়ে দেখবেন কি, ঝাল ঝাল খাবারে স্বাদ বদল হবে। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল শুরু হয় টক দইয়ে ভিজিয়ে নেওয়া ওট্স, বিভিন্ন রকম বীজ, ফল দিয়ে? পুষ্টিবিদেরা বলেন, খাবারটি অত্যন্ত উপাদেয়।তবে টক দই দিয়ে একই খাবার কি প্রতি দিনই ভাল লাগে? স্বাদ বদলাতে কখনও খেয়ে দেখতে পারেন টক দই দিয়ে তৈরি নেপালি স্যালাড চুকাউনী।
তৈরি করা ভীষণ সহজ। একটু বেশি পরিমাণ টক দই ফেটিয়ে নিতে হবে। এতে যোগ করুন স্বাদমতো সৈন্ধব লবণ, জিরে গুঁড়ো। ভাল করে তা মিশিয়ে নিন। এর পর যোগ করুন সেদ্ধ করা টুকরো আলু, কুচনো পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি, কাঁচালঙ্কা। একটি পাত্রে অল্প সর্ষের তেলে গোটা জিরে, সর্ষে, হলুদ, কাশ্মীরি লঙ্কারগুঁড়ো, কসৌরি মেথি ফোড়ন দিয়ে সেটি উপর থেকে ঢেলে সমস্ত উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন।
প্রশ্ন হল এই খাবার কি স্বাস্থ্যকর?
পুষ্টিবিদেরা বলেন, আলু মানেই তা ক্ষতিকর তা কিন্তু নয়। বরং এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শরীরে শক্তি জোগায়। আলুতে কিছু ভিটামিন এবং খনিজ থাকে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। স্যালাডটিতে প্রচুর পরিমাণে টক দই থাকে। পেটে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার জোগানে তা সাহায্য করে। এতে মেশানো হয় পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা— প্রতিটি খাবারই ভিটামিনে ভরপুর। কাঁচালঙ্কায় আছে ভিটামিন সি। জিরেগুঁড়ো, হলুদও শরীরের পক্ষে উপকারী। হলুদে মেলে কারকিউমিন যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এতে মেলে প্রদাহনাশক উপাদান।
একদম শেষে ফোড়ন বাবদ এখানে তেলের ব্যবহার হয়। অল্প মাত্রায় তেল শরীরের তেমন ক্ষতি করে না। তবে যদি চান, শেষ ধাপ বাদও দিতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদ খানিক কমবে।
এই স্যালাড ভাত-রুটি দুইয়ের সঙ্গে খাওয়া যায়। শুধুই খেতে পারেন।