Kareena Kapoor Size Zero Journey

‘সাইজ় জ়িরো’ শব্দবন্ধ ছিল অচেনা, ভাত-পরোটা খাইয়ে করিনার বদল ঘটান, কী ছিল পুষ্টিবিদের রহস্য

ঋজুতা দিবেকরের স্মৃতিচারণ, ‘টশন’ ছবির প্রস্তাব আসার পরেও ডাল, ভাত আর পরোটা খেয়েই দিন কাটত করিনার। ২৭ বছরের নায়িকা তখন তন্বী হওয়ার জন্য কৃচ্ছ্রসাধনের পথে হাঁটেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৭
Share:

করিনার দেহের আকার পরিবর্তন নিয়ে বললেন পুষ্টিবিদ। ছবি: সংগৃহীত।

‘টশন’ ছবিতে করিনা কপূরের চেহারা পরিবর্তনের নেপথ্যে ছিলেন তিনি। তাঁরই জন্য ‘সাইজ় জ়িরো’ শব্দবন্ধ চিনল বলিউড। কিন্তু তিনি নিজেই এই শব্দদ্বয়ের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। সম্প্রতি ২০০৮ সালের সেই যাত্রার প্রসঙ্গে কথা বললেন পুষ্টিবিদ ঋজুতা দিবেকর। করিনার সঙ্গে যৌথ ভাবে সেই পথে হেঁটেছিলেন তিনি। নিজের জীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য এবং সুন্দর যাত্রার তকমা দিলেন ঋজুতা।

Advertisement

‘টশন’ ছবির প্রস্তাব আসার পরেও ডাল, ভাত আর পরোটা খেয়েই দিন কাটত তাঁর। ২৭ বছরের নায়িকা তখন তন্বী হওয়ার জন্য কৃচ্ছ্রসাধনের পথে হাঁটেননি। তাঁর এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিলেন ঋজুতা। তাঁর কথায়, ‘‘সাইজ় জ়িরো শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচয় ছিল না আমার। এই শব্দদু’টি আমি বা করিনা, কেউ তৈরি করিনি। করিনা চরিত্রের জন্য রোগা হওয়ার পর এই দুই শব্দ হঠাৎ চারদিক থেকে কানে আসতে থাকে। জানতে পারি, সাইজ় জ়িরো বলে নির্দিষ্ট শব্দবন্ধের নাকি আগে থেকেই অস্তিত্ব ছিল। আমি কেবল এটাই জানতাম, এক তরুণী নিজের দেহের আকার-আকৃতি বদলে ছিপছিপে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাপে কোনও বদল আসেনি। কারণ করিনা প্রায় একই সময়ে ‘টশন’ এবং ‘যব উই মেট’-এর শুট করেছে।’’

করিনার স্বাস্থ্যরক্ষা। ছবি: সংগৃহীত।

করিনার প্রশংসায় ঋজুতার বক্তব্য, ২৭ বছরের সেই করিনার বয়স এখন ৪৫, তিনি দুই সন্তানের মা হয়েছেন, তার পরও তিনি আগের মতোই সুস্থ, সবল, ছিপছিপে আছেন। চেহারা জুড়ে ‘তারুণ্য’-এর ছাপ। ঋজুতা মনে করেন, রোগা হওয়া, ফিট থাকার মূলে রয়েছে সুস্থ যাপন। কেবল চেহারা নয়, জীবনে কী করছেন, কী ভাবে করছেন, সম্পর্ককে কী ভাবে পালন করছেন, সব কিছুর উপর নির্ভর করে ফিটনেস। আর করিনার চেহারায় আসলে সেই যাপনের জেল্লাই ধরা পড়ে।

Advertisement

সাইজ় জ়িরো শব্দবন্ধের উৎস কোথা থেকে?

১৯৬০-এর দশকে আমেরিকায় মহিলাদের পোশাকের মাপের তালিকায় ‘সাইজ় জ়িরো’র অন্তর্ভুক্তি হয়। ধীরে ধীরে মডেলিংয়ের দুনিয়ায় সেই মাপের প্রতি ঝোঁক বাড়ে সমাজে। প্রথম বার আমেরিকান মডেল টুইগির তন্বী চেহারার বিবরণে এই কথাটি ব্যবহৃত হয়েছিল। তার পর থেকে সে রকমই অত্যধিক ছিপছিপে চেহারা বানানোর দিকে ছুটতে শুরু করেন সকলে। সেখান থেকে এই শব্দবন্ধের প্রবর্তন এবং জনপ্রিয়তা। ‘সাইজ় জ়িরো’র মাপ অনুযায়ী কোমর হবে ২৩ ইঞ্চি, ৩২ ইঞ্চি স্তন এবং নিতম্বের পরিধি ৩২ ইঞ্চি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement