পার্থ সামথানের ওজনহ্রাসের কাহিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
‘কভি খুশি কভি গম’-এ হৃতিক রোশনের চরিত্রটি মনে আছে? কিশোর বয়সের রোহনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অন্য এক অভিনেতাকে। বড় হওয়ার পর সে চরিত্রটি হৃতিক অভিনয় করেন। কিশোর অভিনেতা হৃষ্টপুষ্ট হলেও হৃতিকের চেহারা সুগঠিত। ফলে কিশোর থেকে যুবক হওয়া রোহনের চেহারাগত রূপান্তর খানিক অবিশ্বাস্য ছিল দর্শকের কাছে। কিন্তু ঠিক সেই ঘটনারই বাস্তব রূপ দিয়েছেন মুম্বইয়ের জনপ্রিয় টেলিভিশন-নায়ক পার্থ সামথান। তাঁর গুণে, রূপে, দেহের গঠনে মুগ্ধ অনুরাগীমহল। তাঁকে মুম্বই টেলিজগতের হার্টথ্রব বললেও অত্যুক্তি হবে না। সম্প্রতি কৌতুকাভিনেত্রী ভারতী সিংহ এবং তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে পার্থ জানালেন, তাঁর শরীরী আবেদন, দেহগঠনের জন্য এখন অনেকে তাঁকে হৃতিকের সঙ্গে তুলনা করেন। পার্থের বক্তব্য, তিনি ছিলেন ‘কভি খুশি কভি গম’-এ খুদে হৃতিক। তার পর বড় হওয়ার পর তিনি একেবারে বদলে ফেলেন চেহারা।
পার্থ বলছেন, ‘‘ছোটবেলায় আমার ওজন ১১০ কিলোগ্রাম ছিল। আমি বেশ মোটাসোটা ছিলাম। ওই ছবিতে রোহন চরিত্রটির মতোই রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম। মাত্র চার মাসে ৩২ কেজি ওজন কমিয়েছিলাম আমি। মাত্র চার মাসে!’’ কম বয়সেই ওজন কমাতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কোন কৌশলে অত কম সময়ে সফল হন তিনি?
ছোটবেলায় পার্থের ওজন ১১০ কিলোগ্রাম ছিল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
পার্থের কৈশোরের দিনগুলিতে ওজন কমানোর জন্য অ্যারোবিক্সই ছিল আসল ব্যায়াম। পার্থ প্রচুর অ্যারোবিক্স করতেন। জিম বা এখনকার মতো নানাবিধ যন্ত্রের ব্যবহার ছিল না তখন। তাই দৌড়োনো, ডায়েট করা, অ্যারোবিক্স, এমন সাদামাঠা উপায়েই লক্ষ্যভেদ করেন ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কে ২’-এর নায়ক। তবে অভিনেতার আশ্চর্য দাবি, এই নিয়মের জন্য নাকি তাঁর শরীরের উচ্চতাও বেড়ে গিয়েছে। পার্থের কথায়, ‘‘মাত্র চার-পাঁচ মাসের মধ্যেই আমি ৫ ফুট থেকে সোজা ৬ ফুট ১ ইঞ্চিতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বয়স ছিল তখন। তাই এখন আমি অনেককে সাইক্লিং, সাঁতারের মতো কার্ডিয়ো করতে উৎসাহ দিই, তার বড় কারণ দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি। আমার পরিবারের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। সেখানে আমি হঠৎ এত লম্বা হয়ে গেলাম কী ভাবে? নিশ্চয়ই কার্ডিয়োর অবদান রয়েছে এতে।’’
আসলে গবেষকদের বিশ্বাস, ৮০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেহের উচ্চতার জন্য দায়ী ডিএনএ। অর্থাৎ দেহের উচ্চতা বংশগত বিষয়। তবে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাহ্যিক কিছু কারণ এই উচ্চতার নেপথ্যে কাজ করতে পারে। যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ভাল খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। কিন্তু ডিএনএ আর হরমোনই আসল ভূমিকা পালন করে। তার মানে পার্থের দেহের উচ্চতা তাঁর বংশগতই। হয়তো তাতে অনুঘটকের কাজ করে শরীরচর্চা, খাওয়াদাওয়া।