পেয়ারা কারা খাবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
ফলের বাজারে এখন কিউয়ি থেকে শুরু করে অ্যাভোকাডো, ব্লুবেরি থেকে পিচ, ড্রাগন ফ্রুট অনেক কিছুই পাওয়া যায়। সে সব ফলের গুণাগুণও নাকি অনেক। তবে ভিন্দেশি সে সব ফলের থেকে পেয়ারা কোনও অংশেই কম নয়। স্বাদের ব্যাপারে তো বটেই, পুষ্টিগুণেও এগিয়ে পেয়ারা। পেয়ারায় ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ভিটামিন এ, বি ১, বি ২, বি ৩, বি ৫, বি ৬, ই এবং ফোলেটের পাশাপাশি নানা রকম খনিজও রয়েছে। তবে পেয়ারা কিন্তু সকলের জন্য নয়। রোজের ডায়েটে যদি পেয়ারা রাখেন, তা হলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। দেখে নিন, আপনার এই সমস্যাগুলো রয়েছে কি না, যদি থাকে তা হলে পেয়ারা না খাওয়াই ভাল।
কোন কোন শারীরিক সমস্যায় পেয়ারা খাওয়া যাবে না?
পেটের রোগ-গ্যাসের সমস্যা
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের জন্য ভাল হলেও, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) থাকলে পেয়ারা না খাওয়াই ভাল। যাঁরা প্রচণ্ড গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদেরও পেয়ারা না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে পেট ফাঁপা, পেট ভার, ডায়েরিয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
কিডনির রোগ
পেয়ারায় পটাশিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। অতিরিক্ত পটাশিয়াম কিডনির রোগের জন্য ভাল নয়। তাই কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা থাকলে অথবা কিডনির রোগ থাকলে পেয়ারা বুঝেশুনে খাওয়াই উচিত।
ডায়াবিটিস
পেয়ারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এর প্রাকৃতিক শর্করা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
অ্যালার্জির ধাত
সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা থাকলে সেই সময়ে পেয়ারা না খাওয়াই ভাল। পেয়ারা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। বেশি খেলে এগ্জ়িমার মতো চর্মরোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।