ওজন কমাতে পোহা খাবেন, না উপমা? ফাইল চিত্র।
গরম গরম ফুলকো লুচির মায়া ত্যাগ করেছেন। ওজন কমাতে সকালে জলখাবারে ঘিয়ে ভাজা গরম পরোটা বা ডিমে চোবানো ভাজা টোস্টকেও ব্রাত্য করেছেন। ওট্স, ডালিয়া অথবা পোহা বা উপমাকেই বেছে নিয়েছেন জলখাবারের পাতে। ওজন কমাতে যাঁরা সত্যিসত্যিই আগ্রহী, তাঁরা অনেক সময়েই ভাবেন সকালে পোহা, উপমা না ইডলি, কোন খাবারটি খেলে লাভ বেশি হবে। যদি চিঁড়ের পোহা বা সুজির উপমার মধ্যে বেছে নিতে বলা হয়, তা হলে কোনটি বেশি উপকারী? কারা কোনটি খেলে উপকার পাবেন?
পোহা কতটা ভাল?
চিঁড়েতে ভরপুর আয়রন আছে। তার সঙ্গে গাজর, বিন্স, ক্যাপশিকাম মিশিয়ে পোহা বানালে তা মন্দ হয় না। আয়রন ও সব্জির ফাইবারের যুগলবন্দি পুষ্টিকর, তাতে কোনও সন্দেহই নেই। তা ছাড়া চাল থেকে তৈরি চিঁড়ে কার্বোহাইড্রেটেও ভরপুর। তবে যদি ওজন কমাতে হয়, তা হলে ঘি বা মাখন ও মশলা দিয়ে রসিয়ে রাঁধা চিঁড়ের পোহা বা পোলাও কিন্তু ওজন কমানোর বদলে বৃদ্ধি করবে। যাঁরা ‘লো-কার্ব’ অর্থাৎ, কম কার্বোহাইড্রেট খেয়ে দ্রুত ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য পোহা ততটা উপযোগী নয়। তবে যাঁরা সুষম ডায়েট করে ধীরে ধীরে ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা পোহা খেতেই পারেন।
উপমা কতটা উপযোগী
সুজির পুষ্টিগুণ অনেক। থায়ামিন বা ভিটামিন বি১ ও রাইবোফ্ল্যাভিন বা ভিটামিন বি২-তে ভরপুর উপমা পুষ্টি ও শক্তির উৎস। সুজি নানা প্রোটিন, ফাইবার ও নানা খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। দক্ষিণ ভারতীয় এই খাবার রোগীর পথ্য হিসেবেও খাওয়া হয়।
কাদের জন্য কোনটি উপকারী?
কম ক্যালোরির ডায়েট করতে চাইলে পোহা খুব ভাল। খেলে পেট হালকা থাকবে। তবে বেশি ঘি দিয়ে তৈরি করা যাবে না।
ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে প্রোটিন ডায়েট করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য উপমা আদর্শ। ভিটামিন বি-এর অভাব হলেও উপমা রোজের জলখাবারে রাখতে পারেন।
গ্লুটেনে অ্যালার্জি হলে, পোহার চেয়ে ভাল কিছু নেই। পোহা পুরোপুরি গ্লুটেন-মুক্ত। ময়দার লুচি বা পরোটার ভাল বিকল্প হতে পারে পোহা।
ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য আবার উপমা ভাল। এতে শর্করার ছিটেফোঁটাও নেই। তাই উপমা খেলে সুগার চট করে বাড়বে না।