Sweet Cravings

সারা ক্ষণ মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে? কোন কোন রোগ বাসা বাঁধার ইঙ্গিত দিচ্ছে শরীর?

সারা ক্ষণ যদি মিষ্টি খাই খাই করেন, তা কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলেই মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জেনে নিন, সেগুলি কী কী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ১৩:১১
Share:

সর্ব ক্ষণ মিষ্টি খাই খাই ভাব? ছবি: সংগৃহীত।

অনেক সময় খিদে না থাকলেও খাই খাই করেন। অনেকেই বলতে পারেন, এটা তো চোখের খিদে। আবার কখনও কখনও এমনও হয় যে, কোনও একটা বিশেষ খাবার খেতে খুব ইচ্ছে করছে। কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছে, তা আসলে নির্ভর করে শরীরের উপর। ব্যাপারটা মোটেও 'চোখের খিদে' নয়। প্রতিটি বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই যোগ রয়েছে শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের। অনেক সময় দেখা যায়, খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে সারা ক্ষণ যদি মিষ্টি খাই খাই করেন, তা কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলেই মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জেনে নিন, সেগুলি কী কী।

Advertisement

১) শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি হলে: রোজকার ডায়েটে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে আরও বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার প্রবণতা হয়।

২) ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুমোলে তবেই শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। লেপটিন নামক হরমোন শরীরে ঠিক কোন খাদ্য কতটা প্রয়োজন, কোন খাবার আর খেতে ইচ্ছে করছে না— এই সবের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এই হরমোনের উৎপাদন মাত্রা কমে যায়। ফলে ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

Advertisement

উদ্বেগ ও মানসিক চাপের কারণে চিনিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। ছবি: সংগৃহীত।

৩) মানসিক চাপ: উদ্বেগ ও মানসিক চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ইনসুলিনের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে। তাই চিনিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়।

৪) খনিজের ঘাটতি: পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি খনিজের অভাব ঘটলেও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন