Meditation

রোজ ১৫ মিনিট বিপাসনা করে নাকি অঘোরে ঘুমোন রোহিত, কী এই পদ্ধতি?

রোহিতের সুস্বাস্থ্যের আরও একটি কারণ হল তিনি নাকি ঠিক শিশুর মতোই একটানা ঘুমোতে পারেন। তাই ক্লান্তিবোধ তাঁর হয়ই না। সকালে উঠেই কাজ করার উৎসাহ পান তিনি। তার কারণই হল বিশেষ এক রকম ধ্যান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৯
Share:

মন স্থির রাখতে নিয়মিত ধ্যান করেন রোহিত বসু রায়। ফাইল চিত্র।

ঘুমের সমস্যা চিরতরে ঘুচে গিয়েছে রোহিত বসু রায়ের। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। টিভি তারকা রোহিত সিনেমাতেও পরিচিত মুখ। নব্বইয়ের দশকে একাধিক হিন্দি ও বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। বয়স যত বাড়ছে, ততই চেহারায় তরতাজা ভাব আরও বেশি করে ফুটে উঠছে রোহিতের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে রোহিত জানিয়েছেন যে, তিনি স্বাস্থ্য সচেতন। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া আর নিয়মিত শরীরচর্চাতেই এত ফিট তিনি। বয়স যেন ছুঁতেই পারেনি তাঁকে। রোহিতের সুস্বাস্থ্যের আরও একটি কারণ হল তিনি নাকি ঠিক শিশুর মতোই একটানা ঘুমোতে পারেন। তাই ক্লান্তিবোধ তাঁর হয়ই না। সকালে উঠেই কাজ করার উৎসাহ পান। তার কারণই হল বিশেষ এক রকম ধ্যান, যা ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়মিত অভ্যাস করেন তিনি।

Advertisement

প্রতি দিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১৫ মিনিট করে বিপাসনা ধ্যান করেন রোহিত। কী ভাবে করেন তা-ও জানিয়েছেন। রোহিতের কথায়, পদ্মাসনে বা সুখাসনে বসে দুই হাত জড়ো করে কোলে অথবা দুই হাত হাঁটুর উপর রেখে চোখ বন্ধ করে বসেন। ধ্যানের সময়ে অন্য কোনও চিন্তা করেন না। মন স্থির করে কেবল চোখ বন্ধ করে রাখেন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখেন। প্রথম প্রথম মনে নানা রকম চিন্তা এলেও, পরে মন সুস্থির হয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন রোহিত।

অভিনেতা জানাচ্ছেন, এই ধ্যানের জন্য নিরিবিলি কোনও জায়গা বেছে নিতে হবে। তাঁর যোগাসন প্রশিক্ষকই তাঁকে বলেছেন যে, শান্ত পরিবেশে ধ্যান করলে মনের চঞ্চলতা দূর হবে। নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করেও ধ্যান করতে পারেন। ধ্যান করার আগে এবং পরে মোবাইল থেকে দূরে থাকেন তিনি। তাতে তাঁর মন নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই ধ্যানের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা অত্যন্ত জরুরি। অল্প সময়ের জন্য হলেও রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ধ্যান করলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে বলেই মত রোহিতের। যাঁরা প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ভোগেন, দুশ্চিন্তা বেশি করেন, তাঁদের মনের চাপ কমানোর জন্য আদর্শ হতে পারে বিপাসনা ধ্যান।

Advertisement

রোহিত জানাচ্ছেন এই ধ্যান করে তিনি উপকার পেয়েছেন। কিছুটা সময় কাজ, সমাজ আর সংসারের সব জটিল বিষয়গুলিকে মাথা থেকে সরিয়ে রাখলে, নিজের সঙ্গেও একাত্ম হওয়া যায়। ফলে ভাবনাচিন্তার নতুন পথ খুলে যায়। যে সমস্যা নিয়ে চিন্তিত, তার সমাধানের পথও খুঁজে পেতে পারেন নিয়মিত ধ্যান করলে। কারণ, ভাবনার পথ স্বচ্ছ হলে ভুলভ্রান্তিগুলি ধরাও পড়ে সহজে। আর তার থেকে বেরিয়ে আসার পথের হদিসও পাওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement