ফ্যাট ঝরার প্রক্রিয়া শুরু হলে ঘামের গন্ধেও বদল আসে। ছবি: এআই।
ব্যস্ত জীবনে রোজ শরীরচর্চা করা হয়ে ওঠে না। তার উপরে ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস তো আছেই। অফিসে যাঁরা দিনভর এক জায়গায় বসে কাজ করেন, হাঁটাহাঁটি বিশেষ করেন না, তাঁদের ওজন বেড়েই চলে। শরীরে বাকি অংশের মেদ ঝরানো যতটা কঠিন, পেটের চারপাশে জমতে থাকা মেদ ঝরানো তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন কাজ। অনেকেই মেদ ঝরাতে কড়া ডায়েট শুরু করেছেন। মিষ্টি ছেড়েছেন, কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েছেন, ময়দা প্রায় ধরেন না বললেই চলে। এত সব করেও কি শেষমেশ মেদ ঝরছে? কেবল ওজন বাড়া বা কমা নয়, বেশ কিছু অদ্ভুত উপসর্গ আছে, যা আদতে মেদ ঝরার ইঙ্গিত দেয়।
১) মেদ ঝরার প্রক্রিয়া শুরু হলে হঠাৎ করে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। মেদ জলের আকারে শরীর থেকে বেরোতে শুরু করে। তাই প্রস্রাবের পরিমাণও অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।
২) ফ্যাট ঝরার প্রক্রিয়া শুরু হলে ঘামের গন্ধেও বদল আসে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে আসে ফ্যাট গলতে শুরু করলে। তাই ঘামেও টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
৩) মেদ ঝরতে শুরু করলে সকালে উঠেই খিদে পেতে পারে। সকালে খিদে পাওয়ার অর্থ হল, বিপাকহার উন্নত হয়েছে, সারা রাত ধরে ফ্যাট ঝরেছে।
৪) অনেক সময় মেদ ঝরতে শুরু করলেও ওজনে কোনও হেরফের হয় না। সে ক্ষেত্রে পোশাক পরলে মনে হয় বেশ ঢিলে হচ্ছে, বিশেষ করে জিন্স বা ট্রাউজ়ার পরার সময় বদলটা চোখে পড়ে।
৫) শরীরের ফ্যাট গলতে শুরু করলে সারা দিন বেশ চাঙ্গা লাগে। আগের তুলনায় সারা দিন বেশ ফুরফুরে মনে হয়। ফ্যাট গলে জ্বালানি হিসাবে কাজ করে, ফলে শক্তিও বাড়ে।
৬) ফ্যাট গলানোর প্রক্রিয়ায় জলও কাজে লাগে। তাই শরীরে জলের ঘাটতি হয়। এই সময় বেশি মাত্রায় জল তেষ্টা পায়।
৭) ত্বক আগের তুলনায় অনেক বেশি জেল্লাদার মনে হবে। ফ্যাট গলতে শুরু করলে শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমে যায়। তাই ত্বক বেশি চকচকে, পরিষ্কার আর জেল্লাদার দেখায়।