Rice

Pcos and Diabetes: একসঙ্গে পিসিওএস ও ডায়াবিটিসে ভুগছেন? ভাত খেলে কি সমস্যা বাড়তে পারে

পিসিওএসের হাত ধরে জন্ম নেয় ডায়াবিটিসও। এই দুই শারীরিক অসুস্থতা শরীরে বাসা বাঁধলে, ভাত খাওয়া কি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ১৮:২৮
Share:

পিসিওস থাকলে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়। ছবি-প্রতীকী

সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— পিসিওসের শিকার অনেকেই। বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান, সোনম কপূরেরও পিসিওসের সমস্যা রয়েছে। সারা নিজে জানিয়েছেন, এক সময়ে পিসিওসের কারণে প্রায় ৯৬ কেজি ওজন হয়ে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে তা কমিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জনে এক জন ভারতীয় নারীর এই অসুখ রয়েছে।

Advertisement

‘পলিস্টিটিক ওভারি সিনড্রোম’-কে এক কথায় ‘পিসিওস’ বলে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, এর জেরে মানসিক উদ্বেগ, স্থূলতার মতো সমস্যার পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। চিকিৎসকরা বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলেছেন, পিসিওস থাকলে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়।

পিসিওস এবং ডায়াবিটিস, দুই-ই থাকলে কি সত্যিই ভাত খাওয়া ঠিক নয়? ছবি- সংগৃহীত

কারও যদি ডায়াবিটিস এবং পিসিওস একসঙ্গে থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। বিশেষ করে ভাত। পিসিওস এবং ডায়াবিটিস, দুই-ই থাকলে কি সত্যিই ভাত খাওয়া ঠিক নয়?

Advertisement

চিকিৎসকরা বলছেন, এমন ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ভাত খেলে সমস্যা নেই। তবে পরিমাণটা যেন অল্প হয়। সারা দিনে এক বারের বেশি না খাওয়াই ভাল। প্রয়োজনে দু’বার। তবে কোনও দিন যদি দু’বার ভাত খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে পরিমাণটা যেন খুবই অল্প হয়। শুধু ভাত নয়, সঙ্গে কী খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু জরুরি। ভাত অল্প, কিন্তু শাকসব্জির পরিমাণ যেন বেশি হয়। শাকসব্জির পাশাপাশি প্রোটিনযু্ক্ত খাবার খান। ডাল, টক দই, স্যালাড রাখুন রোজের পাতে।

পিসিওস এবং ডায়াবিটিস— দু’ক্ষেত্রেই সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ায় বিধি-নিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বিপজ্জনক। সে কথা মাথায় রেখেই অনেকে ভাত খান না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাত খেলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে ভাত রান্নার সময়ে দু’টি টোটকা মেনে চললেই হবে।

১) ভাতে ফ্যান থাকলে চলবে না। ফ্যানে প্রচুর স্টার্চ থাকে। যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। ভাত হওয়া চাই ঝরঝরে।

২) ভাত রান্নার সময়ে এক চা চামচ নারকেল তেল বা ঘি ফেলে দিন। তাতে বিপাকহার বাড়ে। হজমশক্তি উন্নত হয়। রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন