peanut butter

Health Tips: ওজন ঝরাতে পিনাট বাটার খাওয়া শুরু করেছেন? কতটা খাওয়া নিরাপদ

অনেকেই প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময়ে পিনাট বাটার খান। ভাবেন শরীরের মেদ দ্রুত ঝরবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৮
Share:

দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখন না খাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত

পিনাট বাটার খুবই পুষ্টিকর। এতে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টির উপাদান। প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, নিয়াসিন, ভিটামিন ই ও ভিটামিন বি-৬ থাকে। অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে খুব চিন্তায় থাকেন। সে ক্ষেত্রে পিনাট বাটারেই হতে পারে মুশকিল আসান। বিশেষ়়জ্ঞদের দাবি, পিনাট বাটারে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন খিদে কমিয়ে ওজন কমাতে দারুণ ভূমিকা পালন করে।

Advertisement

পিনাট বাটার খেতে দারুণ সুস্বাদু। তাই অনেকেই প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময়ে এই মাখন খেয়ে থাকেন। ভাবেন শরীরের মেদ দ্রুত ঝরবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়। দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখন না খাওয়াই ভাল। পিনাট বাটার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে খেলে পাচনতন্ত্রের উপরে তার প্রভাব পড়ে। আর যেখান থেকেই শুরু হয় একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা।

১) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা: বাজারজাত পিনাট বাটারগুলিতে অতিরিক্ত নুন, চিনি ও হাইড্রোজিনেটেড অয়েল থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় এই পদার্থগুলি শরীরে গেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

Advertisement

প্রতীকী ছবি

২) ওজন বাড়ে: অনেক সংস্থার পিনাট বাটারে পাম অয়েল থাকে। দীর্ঘদিন এই তেল শরীরে জমতে থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটারে ১০০ ক্যালোরি থাকে। তাই এটি বেশি মাত্রায় খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য।

৩) হজমের সমস্যা: গরমের দিনে খুব বেশি বাদাম না খাওয়াই ভাল। এতে হজমের গোলমাল শুরু হয়। পিনাট বাটার বেশি মাত্রায় খেলেও হজমে অসুবিধা হয়। গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যাও হতে পারে। এমনকি বিপাক হারও কমে যায়।

৪) হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি: পিনাট বাটারে ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি অধিক মাত্রায় থাকে, যা হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। শুধু তা-ই নয়, এ ক্ষেত্রে রক্তে শর্করা ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

৫) স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি: বেশ কিছু সংস্থার পিনাট বাটারে মাইকোটক্সিন নামক যৌগ থাকে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এই যৌগটি দীর্ঘদিন শরীরে জমতে থাকলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। ফলে উদ্বেগ বাড়ে, মানসিক চাপ বাড়ে। স্মৃতিহভ্রংশের ঝুঁকিও বাড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement