আখরোট বা কাঠবাদাম— স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভাল? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
মস্তিষ্ক থেকে হার্ট, ত্বক, চুল ভাল রাখতে বাদাম খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু কোন বাদাম? আখরোট হোক বা কাঠবাদাম— পুষ্টিগুণে কেউ কম যায় না। ‘হেলদি ফ্যাট’ থেকে খনিজ, ভিটামিনে ভরপুর আখরোট কিন্তু অন্যান্য বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটকে বলে বলে ১০ গোল দিত পারে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর আখরোট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। আবার কাঠবাদামের পুষ্টিগুণও নেহাত কম নয়। প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জ়িঙ্ক, ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদামই।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম কেউ খান কড়াইয়ে সেঁকে নিয়ে, কেউ আবার জলে ভিজিয়ে। কাঠবাদাম কুচিয়ে দই বা স্মুদিতে পেস্ট করেও খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে তা হজমে সহায়ক হবে। তা ছাড়া, খোসা ছাড়িয়ে নিলে ভিটামিন ই-এর পুষ্টিগুণ পাওয়া সহজ হয়। কেউ কেউ বলেন, ভেজানো কাঠবাদাম মস্তিষ্কের জন্য টনিকের মতো কাজ করে। কারণ, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর এটি। বৌদ্ধিক বিকাশে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে খনিজটি অত্যন্ত জরুরি। স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ-সবল রাখতেও তা কার্যকর।
আখরোট
আখরোটের পুষ্টিগুণও যথেষ্ট। হার্ট ভাল রাখতে, শরীরের শক্তি জোগাতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় তারুণ্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে। এতে রয়েছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড। মস্তিষ্কের বিকাশেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হজমের দিক দিয়ে ভাবলে, কাঠবাদামের চেয়ে আখরোট হজম করা একটু কঠিন হতে পারে। নিয়মিত খেতে হলে কাঠবাদামই ভাল। তবে হজমের সমস্যা না হলে আখরোট খাওয়াতেও সমস্যা নেই।
তা হলে বেছে নেবেন কোনটি?
মস্তিষ্ক এবং হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে আখরোট খুবই কার্যকর। কাঠবাদাম আবার ওজন নিয়ন্ত্রণ, শরীরে শক্তি জোগানোর জন্য ভাল। ১০ গ্রাম কাঠবাদামে ক্যালোরির পরিমাণ ৫৮ কিলোক্যালোরি, আখরোটে সেই পরিমাণ ৬৫। দুই ধরনের বাদামই উপকারী। খাওয়া নির্ভর করবে কার কোনটি বেশি ভাল লাগে বা সহ্য হচ্ছে, তার উপরে। আখরোটে হালকা তিতকুটে স্বাদ কারও কারও ভাল লাগে না। কাঠবাদাম খেতে অনেকে বেশি ভালবাসেন।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভেজানো কাঠবাদাম বা আখরোট যা-ই খাওয়া হোক না কেন, পরিমাণ বোঝা খুব দরকার।