সোনালি বেন্দ্রের পরিবারের খাদ্য-কাহিনি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মহারাষ্ট্রীয় পরিবার থেকে সোজা পঞ্জাবি পরিবারে। ডাল-ভাত থেকে সরাসরি ডাল-বাটি-চুরমা। সাংস্কৃতিক ভাবে এমনই মস্ত ঝাঁপ দিতে হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রেকে। পরিচালক গোল্ডি বহেলকে বিয়ে করার পর তাঁর পঞ্জাবি পরিবারে এসে চমকে গিয়েছিলেন তৎকালীন নায়িকা। কারণ সাদামাঠা খাবারে অভ্যস্ত সোনালি দেখতেন, বহেল পরিবারের খাবারের টেবিল রোজ এমন ভাবে ভরে থাকত, যেন কারও বিয়ে। সম্প্রতি পরিচালক ফারহা খানের সঙ্গে আড্ডায় নববধূ হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বললেন সোনালি।
সোনালি সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে নেন। কিন্তু তার পর বাড়ির সকলে খেতে বসেন। সে সময়ে তাঁদের সঙ্গে আবারও খাবার টেবিলে বসে থাকতে হয় সোনালিকে। আর সেটি তাঁর কাছে যন্ত্রণাদায়ক। সোনালির শাশুড়ি মধু রমেশ বহেলের কথায় জানা গেল, বিয়ের পর সোনালি প্রথম দিকে এত খাবার দেখে খুব অবাক হতেন, কিন্তু তার পরই ধীরে ধীরে বাড়ির খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলেন। সোনালির জন্য তাঁরাও কম কম খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করার দিকে ঝুঁকলেন। ভাপা খাবার এর আগে তাঁদের পঞ্জাবি পরিবারে খাওয়াই হত না। কিন্তু সে সবও পাল্টে যেতে থাকে। কিন্তু মুশকিল হত, গোল্ডি ও মধুর রাতের দিকে বড়ই খিদে পেয়ে যেত। অত কম খাবার, তা-ও আবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া, সহ্য হত না তাঁদের। মধু জানাচ্ছেন, গোল্ডি রাতের বেলা ফ্রিজে কিছু খাবার রয়েছে কি না, জানতে চাইতেন তাঁর মায়ের থেকে।
সোনালির পরিবারের এমন ঘটনা আকছার অন্যান্য বাড়িতেও দেখা যায়। স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য সন্ধ্যায় নৈশভোজ সেরে নেওয়া উচিত ঠিকই, কিন্তু রাত বাড়লে সে খাবার হজম হয়ে গিয়ে খিদেও পেয়ে যায়। আর তখনই মুশকিল। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার বার করে খাওয়া বা ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যরক্ষার রুটিনের দফারফা হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
সোনালির মতো আপনিও সন্ধ্যার মধ্যেই নৈশভোজ সেরে ফেলেন? এ দিকে কাজকর্মের রুটিনের জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমোনোও সম্ভব নয় সব সময়ে। আর এমন পরিস্থিতিতে রাত বাড়লে খিদে পাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার বা মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। সে ক্ষেত্রে রাতে ঘুমোনোর আগে একটি মিল যুক্ত করতে হবে ডায়েটে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ওজনে প্রভাব পড়বে না, শরীরও ভাল থাকবে। এই টোটকায় উপকার পেতে পারেন। কী কী খাবেন গভীর রাতে?
গ্রিক ইয়োগার্ট, নানাবিধ বাদাম, নানা প্রকার বীজ, বাড়িতে তৈরি পপকর্ন, টোস্ট, শক্ত সেদ্ধ ডিম, পিনাট বাটার মাখানো পাউরুটি, দানাশস্য বা দুধের মতো খাবার খাওয়া যেতে পারে। আবার ফল এবং সব্জি, ওটস, তিসি, দই, অ্যাভোকাডো দিয়ে বানানো স্মুদিও খেতে পারেন। তবে দেখতে হবে, এর মধ্যে কোন কোন খাবার আপনার স্বাস্থ্যের ধরনের সঙ্গে মানানসই। যেমন ল্যাক্টোজ় যাঁদের সহ্য হয় না, তাঁরা দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও পণ্যই খেতে পারবেন না। বাদামে অ্যালার্জি থাকলে সেটি বাদ। নিজের মতো খাদ্যাভ্যাস বানিয়ে ফেলতে হবে গভীর রাতের স্ন্যাক্সের জন্য।