মোবাইল ফোন প্রসঙ্গে অনুরাগীদের সতর্ক করলেন অভিনেতা আর মাধবন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দক্ষিণী অভিনেতা আর মাধবন ফিটনেস সচেতন। পাশাপাশি, দৈনন্দিন জীবনে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’-এর উপরেও তিনি নজর দেন। সম্প্রতি, নতুন প্রজন্মকে মোবাইল ফোন সম্পর্কে সচেতন করতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন ‘রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’ খ্যাত অভিনেতা।
মোবাইল ফোন আমাদের ব্যবহারিক জীবনে নানা সমস্যা তৈরি করছে। বিষয়টি নিয়ে চর্চা অব্যাহত। একটি আলোচনা সভায় যোগ দিনে মাধবন জানিয়েছেন, এখন সমাজের অনেকেই ‘মোবাইল ফিঙ্গার’-এ আক্রান্ত। উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে মাধবন বলেন, ‘‘যে হাতে ফোন ব্যবহার করেন এবং অন্য হাতের আঙুলের উপরের দিকগুলো ছুঁয়ে দেখুন। দেখবেন দুটো আলাদা।’’ এরই সঙ্গে মাধবন বলেন, ‘‘মোবাইল কোনও ভাবে আমাদের শারীরিক গঠনের পরিবর্তন করছে! আমি নিজেও এতে আক্রান্ত।’’
মোবাইল ফোন ফিঙ্গার কী?
প্রত্যেক দিন এক হাতে ফোন ধরে, স্ক্রল করে এবং কি প্যাডে টাইপ করার ফলে একটি হাতে অনেক সময়ে অস্বস্তি শুরু হয়। যে হাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়, সেই হাতের কব্জি বা আঙুলে ব্যথাও বাড়তে শুরু করে। অনেক সময়ে আঙুল এবং হাতের কব্জির কাছাকাছি পেশিগুলি শক্ত হয়ে ওঠে। অনেক সময়ে পরিস্থিত জটিল হলে, অত্যধিক মোবাইল ব্যবহারে ফলে হাতে এবং আঙুলে স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই অবস্থাকেই ‘মোবাইল ফোন ফিঙ্গার’ বলা হয়।
রক্ষাকবচ কী?
‘মোবাইল ফোন ফিঙ্গার’ থেকে বাঁচার একটাই উপায়। তা হল মোবাইলের ব্যবহার কমানো। চিকিৎসকেদের একাংশের পরামর্শ, মোবাইলের পরিবর্তে অন্য কোনও মাধ্যম ব্যবহার করলে হাতের উপরে চাপ পড়বে না। যেমন, মোবাইলে কোনও ভিডিয়ো বা সিনেমা না দেখে যদি ল্যাপটপে বা টিভিতে দেখা যায়, তা হলে আঙুলের উপরে চাপ পড়বে না। সম্ভব হলে, একই হাতে মোবাইল ব্যবহার না করে, অন্য হাতকেও ব্যবহার করা উচিত।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটানা মোবাইল ব্যবহার না করে, মাঝে চোট চোট বিরতি নেওয়া ভাল। সেই সময়ে দুই হাতের স্ট্রেচিং করা যেতে পারে। তার ফলে হাতে চাপ পড়া বা ব্যথা অনেকটাই কম হবে।
ফোনে ‘ডু নট ডিসটার্ব’ মোড ব্যবহার করেও ফোনের প্রতি নজর কমানো যেতে পারে। বই পড়া, শরীরচর্চা বা কাছের মানুষদের সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডা ফোন তেকে নজর ঘোরাতে সাহায্য করে। ফলে হাতের উপর চাপও কম থাকে।
মোবাইলে কথা বলা ছাড়াও একটা বড়, অংশ আমরা সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে কাটাই। তাই সামাজিক মাধ্যমগুলির ক্ষেত্রে সময় বেঁধে নিলে, মোবাইলের ব্যবহারও কমে যেতে পারে। হাতে বা আঙুলে ব্যথা বা কোনও অস্বস্তি দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করলে অবিলম্বেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।