Health Tips

জিভ দেখে যায় রোগ চেনা! কোন কোন উপসর্গ দেখলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?

শরীরে জলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করলেও কিন্তু জিভের উপর সাদা স্তর পড়ে। এ ছাড়া কিছু রোগ জিভ দেখেই যাচাই করেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন কখন সাবধান হবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫০
Share:

চিকিৎসকের কাছে গেলেই তাঁরা জিভ দেখতে চান কেন? ছবি: সংগৃহীত।

জ্বর হোক কিংবা পেটের যন্ত্রণা— চিকিৎসকেদের কাছে গেলেই তাঁরা সবার আগে রোগীর জিভ দেখতে চান। কেন বলুন তো? কারণ আর কিছুই নয়, খাবার ভাল না মন্দ বুঝতে যেমন জিভের উপরেই ভরসা রাখতে হয়, তেমনই শরীর হাল বুঝতেও কাজে আসে এই অঙ্গ। জিভের স্বাভাবিক লাল রঙের আভা বদলে গেলে তা বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ে জিভের উপর সাদাটে আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। কেন হয় এমন? চিকিৎসকদের মতে মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করলেও কিন্তু জিভের উপর সাদা স্তর পড়ে। এ ছাড়া কিছু রোগের ক্ষেত্রেও জিভে দেখেই যাচাই করেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন কখন সাবধান হবেন।

Advertisement

১) লিউকোপ্লাকিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। নাম খটমট হলেও সমস্যাটি সাধারণত খুব একটা উদ্বেগের নয়। জিভ বা মুখগহ্বরের উপরের ত্বকের কোষের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই কোষগুলি কেরাটিন নামের একটি প্রোটিনের সঙ্গে মিশে জিভে একটি সাদা আস্তরণ তৈরি করে। সাধারণত নিজে থেকে সেরে গেলেও কখনও কখনও লিউকোপ্লাকিয়া থেকে মুখের ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।

২) মুখের ভিতরেই ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’ নামের এক প্রকার ছত্রাক থাকে। এই ছত্রাকটি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিভে সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ওরাল থ্রাশ। সাধারণত এটি গুরুতর সমস্যা না হলেও ওরাল থ্রাশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই সমস্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনও গভীর সমস্যাও।

Advertisement

জিভে সাদা রঙের আস্তরণ সিফিলিস রোগের অন্যতম লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।

৩) সিফিলিস একটি যৌন রোগ। জিভে সাদা রঙের আস্তরণ এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। সাধারণত অসুরক্ষিত যৌন মিলনের মধ্য দিয়ে এই রোগের ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই জিভে এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।

৪) জিভের রং হঠাৎ নীলচে বা বেগনি হয়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। এ ছাড়া, শ্বাসযন্ত্র কিংবা কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলেও জিভের রং নীল হয়ে যেতে পারে।

৫) জিভের রং একেবারে ফ্যাকাশে হয়ে গেলে তা রক্তে আয়রনের অভাবকেই ইঙ্গিত করে। আবার জিভের উপর লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ অটোইমিউন রোগের ইঙ্গিতও বহন করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন