Health Tips

শুধু তেল-মশলা নয়, ডাল খেয়েও অম্বল হতে পারে, পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে কোন ডালগুলি?

ডাল যেমন শরীরের খেয়াল রাখে, তেমনই ডাল কিন্তু গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যারও কারণ হতে পারে। কয়েকটি ডাল আছে, যেগুলি খেলে গ্যাস হওয়ায় আশঙ্কা ষোল আনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৫২
Share:

প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক শারীরিক সমস্যার চটজলদি সমাধান লুকিয়ে রয়েছে ডালে। ছবি: সংগৃহীত

মাছ, মাংস, ডিম, পোলাও, কালিয়া যতই থাকুক, প্রথম পাতে ডাল না থাকলে অনেকেরই চলে না। আবার বাড়িতে নিরামিষ হলে অনেকেরই প্রথম পছন্দ ডাল। শরীর সুস্থ রাখতে ডালের জুড়ি মেলা ভার। প্রোটিন, খনিজ, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারের মতো পুষ্টির উৎস হল ডাল। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক শারীরিক সমস্যার চটজলদি সমাধান লুকিয়ে রয়েছে ডালে। বড়দের তো বটেই, শিশুদের রোজের খাবারেও ডাল রাখার কথা বলেন চিকিৎসকরা। শিশুর সার্বিক বিকাশে অন্যতম ভূমিকা পালন করে ডাল। এ ছাড়াও ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। স্থূলতার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্যও উপকারী হতে পারে ডাল।

Advertisement

সব খাবারেরই ভাল এবং খারাপ— দু’রকম গুণই থাকে। ডাল যেমন শরীরের খেয়াল রাখে, তেমনই ডাল কিন্তু গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যারও কারণ হতে পারে। তবে সব প্রকার ডাল নয়। কয়েকটি ডাল আছে, যেগুলি খেলে গ্যাস হওয়ায় আশঙ্কা ষোল আনা। চিকিৎসকরা বলছেন, সেই ডালের স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করার কোনও মানে নেই। তবে জানা থাকলে ক্ষতি নেই। খাওয়ার সময়ও সতর্ক থাকতে পারবেন।

মটর ডাল

Advertisement

ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ এই ডাল অন্য অনেক ডালের চেয়ে বেশি উপকারী। এতে প্রোটিনের পরিমাণও অনেক বেশি। কিন্তু মটর ডাল হজম হতে অনেক সময় নেয়। ফলে গ্যাস হয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তবে এর একটা টোটকা আছে। মটর ডাল যদি রান্নার অন্তত কয়েক ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রাখতে পারেন, তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া রান্নার সময়ে যদি একটু হিং বা বেকিং সোডা দিতে পারেন, তা হলেও দূরে থাকবে সমস্যা।

স্বাদের যত্ন নিলেও ছোলার ডাল পেটের গোলমাল বাঁধাতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

কলাইয়ের ডাল

শরীর ঠান্ডা রাখে এই ডাল। তবে কলাইয়ের ডালও হজম হতে বেশ কিছুটা সময় নেয়। তাই যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, কলাইয়ের ডাল তাঁদের না খাওয়াই ভাল। সুস্থ থাকতে কলাইয়ের ডাল রান্নার আগে কম পক্ষে ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কলাইয়ের ডাল রান্নার সময়ে ভুলেও পেঁয়াজ দেবেন না। এ ছাড়াও রান্নার সময়ে একটি হিং ছড়িয়ে দিলে সমস্যা কমতে পারে।

ছোলার ডাল

প্রোটিন, ফাইবারে ভরপুর ছোলার ডালের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খুব কম আছে। লুচি-ছোলার ডাল অনেকেরই প্রিয় খাবার। স্বাদের যত্ন নিলেও ছোলার ডাল পেটের গোলমাল বাঁধাতে পারে। বেশি ছোলার ডাল খেলে কিন্তু গ্যাস হতে পারে। তাই ছোলার ডাল রান্নার ক্ষেত্রেও বাকি ডালের টোটকা মেনে চলুন। সকালে ছোলার ডাল রাঁধলে আগের দিন রাতে ডাল ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ভিজে নরম হয়ে গেলে রাঁধুন। ছোলার ডাল রান্নার ফোড়ন মৌরি দিয়ে। মৌরি পেট ঠান্ডা রাখে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন