মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, শিশুর প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে ৩টি পানীয়ের গুণে। ছবি: এআই।
শীতকালে শিশুদের নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন অভিভাবকেরা। কারণ, শীতকালেই যত সর্দি-কাশি, হাঁচি, জ্বরের সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সংক্রমণজাতীয় সমস্যা সবচেয়ে আগে হানা দেয় শিশুদের মধ্যে। কারণ, শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে যে কোনও রোগ সবচেয়ে আগে বাসা বাঁধে শিশুর শরীরে। তাই শিশুকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। শীতে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো জরুরি। তবে রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে বরং সন্তানকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়াতে পারেন কিছু পানীয়।
গাজর-আপেল-কমলালেবুর রস
শীতে সন্তানকে ফিট রাখতে বরং ভরসা রাখতে পারেন এই রসে। একটা আপেল, একটা ছোট গাজর আর কমলালেবু মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই রস। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়ামের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। প্রতিটি উপাদানই শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায়, প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলি শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত থাকে শিশুরা। আপেল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর, যা শরীরের প্রদাহ দূর করতে আর রোগপ্রতিরোধ শক্তি দূর করতে সাহায্য করে।
জাফরান দুধ
শীতে অ্যালার্জির সমস্যা বেশ বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। সন্তানকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে বরং খাওয়াতে পারেন জাফরান মেশানো দুধ। জাফরান সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। শিশুরা এমনিতেই দুধ খেতে চায় না। তবে খানিক জাফরান মিশিয়ে দিলে বেশ সুস্বাদু লাগবে। শীতে শিশুকে অবশ্যই এই পানীয় খাওয়ান।
আমলকি-হলুদের শট
এক কাপ আমলকি কুচি, দু’টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ কুচি, ১ চা চামচ আদা কুচি আর ১ টেবিল চামচ গোটা গোলমরিচ অল্প জল দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে নিন। বানিয়ে রাখা রস বরফের ট্রেতে ভরে রেখে দিন। একটি করে বরফের কিউব নিয়ে তাতে এক কাপ জল মিশিয়ে দিয়ে দিতে পারেন খুদেকে। আমলকি আর হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।