পকোড়া ভাজার পর তেলটি কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ব্যবহার করা যায়? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
লুচি হোক বা পকোড়া, তেলেভাজা— নামমাত্র তেলে ভাজা যায় না কোনওটাই। এই ধরনের ভাজাভুজির জন্য অনেকটা পরিমাণ তেল দরকার হয়। সমস্যা হলে, ভাজাভুজি হয়ে গেলেও সেই তেল রয়ে যায়। স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে, তা ফেলে দেওয়া ভাল। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রায় সেই তেলে ভাজাভুজি করার পর তাতে ক্ষতিকর কার্সিনেজেনিক উপাদান তৈরি হয়, যা থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
কিন্তু এতটা তেল কি ফেলে দেওয়া যায়? কী ভাবে তা ব্যবহার করবেন। প্রথমেই তেল ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর একটি ছাঁকনির মাধ্যমে তেল ছেঁকে নিন। এতে তেলে রয়ে যাওয়া বেসন বা অন্য কিছুর অংশবিশেষ বাদ পড়ে যাবে। ভাজাভুজির ফলে রয়ে যাওয়া ছোট ছোট কণা তেল ঠান্ডা হলে থিতিয়ে যায়। উপরের পরিষ্কার তেলটি আবার রান্নার কাজে ব্যবহার করা চলে।
মুম্বইয়ের চিকিৎসক সিএইচ আসরানি সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই স্বাস্থ্যকর নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি বলছেন, তেল বা ঘিয়ে এক বার ভাজাভুজি করা যায়। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ভাজার ফলে তেলে এক ধরনের রাসায়নিক তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষের ক্ষতিকর। এক বার ব্যবহৃত তেল দ্বিতীয় বার ভাজাভুজির জন্য ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তা হলে কি সেই তেল আর খাওয়া যাবে না?
তেলে একবার লুচি, পকোড়া বা কোনও সব্জি ভেজে নেওয়ার পর ছেঁকে নিয়ে তা ব্যবহার করা যায়। তবে সচেতন হওয়া দরকার তেলের বর্ণ, গন্ধ সম্বন্ধেও। তেল থেকে যদি পোড়া গন্ধ বেরোয়, তেলটির রং বদলে যায় সেটি বাদ দেওয়া ভাল। তা যদি পরিষ্কার থাকে, তবে তা রান্নায় ব্যবহার করা যায়। তবে সেই তেল দিয়ে আবার লুচি, পকোড়া, মাছের মতো জিনিস ভাজা ঠিক নয়। বরং তরকারি রান্নার সময় বা অল্প তেলে কোনও খাবার সেঁকে নেওয়ার জন্য তা ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, সেই তেলও বড় জোর ৩-৪ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে, তার পর কিন্তু আর নয়।