Weight Loss Myths

৫ ভুল: মেদ ঝরাতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেন, কিন্তু কোনও ফল মেলে না

ইন্টারনেট ঘেঁটে নিজেই ডায়েট চার্ট তৈরি করেছেন। কিন্তু শরীর বা খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ঠিক ধারণাই নেই। লোকমুখে শুনে এমন অনেক ধারণাই মনে ঠাঁই দেন, যা আসলে মেদ ঝরাতে কোনও ভাবেই সাহায্য করে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:১৩
Share:

সময়ের অভাবে বেশি শরীরচর্চা করতে পারেন না, অথচ রোগা হতে চান? ছবি: সংগৃহীত।

মেদ ঝরাতে পরিশ্রমের ঘাটতি রাখেন না। ট্রে়ডমিলে দৌড়, সাইক্লিং, ওয়েট ট্রেনিং, আরও কত কী! কিন্তু সময়ের অভাবে যাঁরা খুব বেশি শরীরচর্চা করতে পারেন না, তাঁদের অস্ত্র হল খাবারে কোপ বসানো। অনেকেই মনে করেন জিম বা যোগাসন করতে পারছেন না মানেই বেশি ক্যালোরির বা ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তা হলেই বোধ হয় অতিরিক্ত মেদের পরিমাণ কমবে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা সে কথা বলছেন না। সঠিক ধারণা না থাকার ফলে এমন কিছু ভুল আমরা করে ফেলি, যার ফলে মেদ ঝরার বদলে উল্টোটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

Advertisement

১) কোনও এক বেলার খাবার না খাওয়া

শরীরচর্চা করতে পারছেন না। খুব একটা কায়িক পরিশ্রমও করতে হয় না। সুতরাং শরীরের বাড়তি ক্যালোরি পোড়ানোর অবকাশ নেই। তাই খাবারের মাধ্যমে ক্যালোরির পরিমাণ যাতে শরীরে কম প্রবেশ করে, তাই কোনও এক বেলা খাবারই খান না অনেকে। এই অভ্যাসে কিন্তু হিতে বিপরীতই হয়।

Advertisement

২) ফ্যাটজাতীয় খাবার বাদ

ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় খাবার খেলেই গায়ে মেদ লেগে যাবে। এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। যা খানিকটা সত্য, তবে পুরোটা নয়। বিভিন্ন প্রকার বাদাম, বীজ বা কিছু ফলের মধ্যে যে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, তা হার্টের জন্য ভাল। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। সুতরাং সব ফ্যাট খারাপ নয়। তবে, ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে যে সব খাবারে, তা এড়িয়ে চলাই ভাল।

সঠিক পরিকল্পনা করলে বাড়ির সাধারণ খাবার খেয়েও কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।

৩) প্রাণিজ প্রোটিনের পরিপূরক উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

প্রাণিজ প্রোটিন আর উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের পুষ্টিগত ফারাক খুব বেশি নেই বলেই মনে করেন অনেকে। তবে পুষ্টিবিদেরা কিন্তু তেমনটা বলছেন না। ডিম, মাছ, মাংসের মতো প্রাণিজ খাবার হল সামগ্রিক প্রোটিন। যার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যামাইনো অ্যাসিড। কিন্তু উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন ডাল, বাদাম, সয়া কিংবা টোফু— কোনও ভাবেই প্রাণিজ প্রোটিনের পরিপূরক হতে পারে না।

৪) চিনি খারাপ, গুড়ের পরিমাণ বেশি হলে ক্ষতি নেই

চিনি খাওয়া কমিয়ে গুড়ের পরিমাণ বেশি খেলে লাভ তো কিছুই হবে না, উল্টে ক্ষতিই হবে। গুড় কিংবা মধুতে প্রাক়ৃতিক ভাবেই শর্করা থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি গেলে যদি ক্ষতি হয়, তা হলে চিনি বা গুড়— সবেতেই হতে পারে। চিনির বদলে গুড় খেলেও তা খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।

৫) স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই খরচসাপেক্ষ

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মানেই প্রচুর খরচ। এমন ধারণাও থাকে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা করলে বাড়ির সাধারণ খাবার খেয়েও কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন