কোন আসন অভ্যাসে হাঁপানির সমস্যাও কমবে? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
ভঙ্গিমা হবে অর্ধেক ধনুকের মতো, তাতেই ব্যায়াম হবে সারা শরীরের। জোর বাড়বে ফুসফুসের। জিমে গিয়ে ভারী ওজন তুলে ব্যায়াম করতে যাঁদের অনীহা, তাঁরা যদি যোগাসনের এই বিশেষ ভঙ্গি অভ্যাস করতে পারেন, তা হলে একটি ব্যায়ামেই সারা শরীরের পেশির শক্তি বাড়বে। দূরে পালাবে যত অসুখবিসুখ। আসনটির নাম অর্ধ ধনুরাসন।
কী ভাবে করবেন?
১) আসনটি করতে প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।
২) তার পর হাঁটু ভাঁজ করে ডান পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। যেহেতু অর্ধ ধনুরাসন, তাই এক পায়েই হবে আসন।
৩) এ বার ডান হাত পিছনে নিয়ে গোড়ালি শক্ত করে চেপে ধরুন। যদি গোড়ালি ধরতে অসুবিধা হয়, তা হলে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।
৪) পা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসতে হবে। এ বার হাত ও পা ওই অবস্থায় ধীরে ধীরে উপরে তোলার চেষ্টা করুন।
৫) এতে কাঁধ পিছনের দিকে থাকবে, বুক সামনের দিকে প্রসারিত হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে।
৬) এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর ধীরে ধীরে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান।আবার অন্য পায়ে একই ভাবে আসনটি করুন।
কেন করবেন?
মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি পাবে আসনটি করলে।
হাত, পা, পিঠের পেশির জোর বাড়বে।
পেটের উপর চাপ পড়বে, ফলে তলপেটের মেদ ঝরবে।
সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে, হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
ফুসফুসের জোর বাড়বে আসনটি করলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়বে। হাঁপানির রোগীদের জন্য খুবই উপযোগী এই আসন।
মনঃসংযোগ বাড়াতেও আসনটি উপকারী।
কারা করবেন না?
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে আসনটি করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করা নিষিদ্ধ।
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি করবেন না।
হৃদ্রোগ থাকলে আসনটি কোনও ভাবেই করা ঠিক হবে না।
মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলেও আসনটি করা যাবে না।