চেয়ারে বসে একটি আসন অভ্যাসেই ওজন কমবে, সুগারও। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
মাটিতে বসে আসনটি করা যায়। তাতে সারা শরীরের স্ট্রেচিং হয়। কোমর-পিঠের ব্যথা ভোগালে এই আসনটি করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে বয়স্কেরা মাটিতে বসতে না পারলে চেয়ারে বসেই আসনটি করতে পারেন। এতে ওজন কমে, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসনটির নাম ‘সিটেড বোট পোজ়’। সহজ ভাষায় বললে, চেয়ারে বসে নৌকার দাঁড় টানার মতো ভঙ্গি।
কী ভাবে করবেন?
১) সোজা হয়ে চেয়ারে বসুন। পিঠ টানটান থাকবে। হেলান দিলে হবে না।
২) দুই পা মাটিতে রাখতে হবে। দুই হাত থাকবে ঊরুর উপরে। চোখ বন্ধ করে মন স্থির করতে হবে।
৩) এ বার চেয়ারের সামনের দিকে খানিকটা এগিয়ে আসুন। দুই হাঁটু যেন একসঙ্গে থাকে।
৪) মনে করুন, নৌকার দাঁড় টানছেন। দুই হাত দিয়ে নৌকার বৈঠা বা দাঁড় ধরার ভঙ্গি করুন।
৫) শ্বাস নিতে নিতে চেয়ারের পিছনে যতটা সম্ভব হেলে যান এবং দাঁড় টানার ভঙ্গিতে কনুই থেকে যতটা পারেন ভাঁজ করে কাঁধের কাছে নিয়ে আসুন।
৬) এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সামনের দিকে ঝুঁকে যান ও একই ভাবে দাঁড় টানার ভঙ্গি করে যান।
৭) এক বার পিছনে হেলে ও এক বার সামনে ঝুঁকে নৌকার দাঁড় টানার ভঙ্গিতে আসনটি ৫ সেট করে করতে হবে।
উপকারিতা:
চেয়ার যোগের এই পদ্ধতি নিয়মিত করলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
শরীরের সমস্ত পেশির স্ট্রেচিং হবে, এতে হাত-পায়ের ব্যথা কমে যাবে।
কোমর ও পিঠের ব্যথা খুব ভোগালে আসনটি অভ্যাসে সুফল পেতে পারেন।
এই আসন নিয়ম মেনে করলে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
পেটের মেদ কমবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কারা করবেন না?
স্লিপ ডিস্কের সমস্যা থাকলে আসনটি করবেন না।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে বা হাঁটু প্রতিস্থাপন হলে আসনটি করা যাবে না।